করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে বিশ্ব অর্থনীতি হুমকির মুখে পড়েছে। তবে এই সময়ে দেশে বেড়েছে নতুন নতুন ব্যবসার সম্ভাবনা। সবজি ও ফল, নাস্তা, সুরক্ষা সামগ্রী, পোশাকসহ নানা ব্যবসার দ্বার উন্মোচিত হয়েছে এই সময়ে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এমন কিছু ব্যবসার কথা উল্লেখ করে এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রযুক্তি বিষয়ক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সামাজিক মাধ্যমে এই মূহুর্তে প্রায় দুই হাজারের মতো নতুন প্রতিষ্ঠান পণ্য বিক্রি করছে। আর এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দেশের ২০০’র বেশি কুরিয়ার সার্ভিসের ব্যস্ততাও এ সময়ে বহুগুণ বেড়েছে।
সেখানে আরও বলা হয়, লকডাউনের সময় যখন রেস্তোরাঁসহ সব ধরণের প্রতিষ্ঠান বন্ধ, করোনাভাইরাস সংক্রমণের ভয়ে যখন লোকের বাড়িতে সাহায্যকারীও আসছে না, সেসময় সকালের নাস্তার রুটি, বিকেলের নাস্তার নানা আইটেমের চাহিদা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পায়।
এই সময়টাতে তাই অনেকেই ফেসবুক পেজে বিজ্ঞাপন দিয়ে বাড়িতে বানানো আটার রুটি, চালের আটার রুটি, কিংবা বিকেলের নাস্তার নানা আইটেম সরবরাহ করছেন।
করোনার এই সময়টাতে দেশে বেড়েছে সুরক্ষা সামগ্রীর চাহিদাও। মাস্ক, গ্লাভস ও স্যানিটাইজারের মতো পণ্যগুলোর চাহিদা বেড়েছে এই সময়ে। আগে অন্য পেশায় ছিলেন এমন অনেকেই এখন বিভিন্ন ধরণের মাস্ক বানিয়ে অনলাইনে বিক্রি করছেন।
যেহেতু করোনার সময়ে বাড়ির বাইরে মানুষ কম বেরিয়েছেন তাই ক্রেতাদের বাড়িতে পণ্য পৌঁছে দিতে বেড়েছে কুরিয়ার সার্ভিসের চাহিদা। আগে রাজধানীতে কুরিয়ারে পণ্য পরিবহনের চাহিদা বেশি থাকলেও এখন রাজধানীর বাইরে জেলা শহরগুলোতেও কুরিয়ারে পণ্য পরিবহনের চাহিদা বেড়েছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে