ক্রীড়া প্রতিবেদক:
ক্যান্ডি টেস্টের চতুর্থ দিনে বাংলাদেশী বোলারদের উপর আধিপত্য দেখিয়েছেন দুই শ্রীলঙ্কান ব্যাটসম্যান দিমুথ করুণারত্নে এবং ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা।
পাল্লেকেলে স্টেডিয়ামে করুণারত্নের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি এবং ধনাঞ্জয়ের সেঞ্চুরিতে দিন শেষে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ৩ উইকেটে ৫১২ রান। আলোর স্বল্পতায় ২২ ওভার বাকি থাকতেই চতুর্থ দিনের খেলা বন্ধ হয়ে যায়। তাতে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের বিপক্ষে ২৯ রানে পিছিয়ে লঙ্কানরা।
পাল্লেকেলের স্টেডিয়ামের উইকেট ক্রমেই ব্যাটসম্যানদের জন্য সৌভাগ্যের হয়ে উঠছে। চতুর্থ দিনেও ব্যাটসম্যানরা এই উইকেট থেকে সুবিধা পেয়েছেন। প্রথম ইনিংসে ৩ উইকেটে ২২৯ রানে দিন শুরু করেন দুই লঙ্কান ব্যাটসম্যান দিমুথ করুণারত্নে ও ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা।
বাংলাদেশি বোলারদের এদিন কোন সুযোগই দেননি এই দুই লঙ্কান ব্যাটসম্যান। অধিনায়ক দিমুথ করুণারত্নে ও ধনাঞ্জয়া ডি সিলভার ব্যাটের কাছে পাত্তাই পাচ্ছিলো না তাসকিন, রাহি, ইবাদত, মিরাজরা। দিনের প্রথম সেশনেই টেস্ট ক্যারিয়ারের ১১তম সেঞ্চুরি করেন করুণারত্নে। সঙ্গী ধনাঞ্জয়া ডি সিলভাও চড়াও হতে থাকেন সফরকারী বোলারদের উপর।
মধ্যাহ্ন বিরতির পর ক্যারিয়ারের সপ্তম এবং বাংলাদেশের বিপক্ষে নিজের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি করেন ধনাঞ্জয়া। এই জুটির দৃঢ়তায় রানের চাকা গড়ায় স্বাগতিকদের পক্ষেই। দিনের শেষভাগে আলোর স্বল্পতায় খেলা বন্ধ থাকে তিরিশ মিনিট। এরপর তাসকিনের বলে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ক্যারিয়ারের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি পান লঙ্কান অধিনায়ক দিমুথ করুণারত্নে। এই দু’জনের ব্যাটে চড়ে স্বাগতিকরা ক্রমেই বাংলাদেশের রানের কাছাকাছি পৌঁছে যেতে থাকে।
অধিনায়কের ডাবল সেঞ্চুরির পর দ্বিতীয়বারের মতো টেস্ট ক্যারিয়ারে দেড়শত রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন ধনাঞ্জয়া। আলোর স্বল্পতায় ২২ ওভার বাকি থাকতেই বন্ধ হয়ে যায় চতুর্থ দিনের খেলা। কোন উইকেট না হারিয়ে চতুর্থ দিন স্কোর বোর্ডে আরো ২৮৩ রান যোগ করে স্বাগতিক দল। করুণারত্নে ২৩৪ ও ধনাঞ্জয়া ১৫৪ রানে অপরাজিত রয়েছেন।
অবিশ্বাস্য কিছু না ঘটলে ক্যান্ডিতে দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথমটি ড্র’র দিকেই যাবে।