করাচি টেস্টের প্রথম দুইটা দিনই পালাক্রমে নিজেদের করে নিয়েছিল উভয় দল। তৃতীয় দিনে এসে দুই দলই ছিল সমানে সমান। তবে দিনের শেষে এসে ফের ড্রাইভিং সিটে পাকিস্তান।
দ্বিতীয় সেশনটা নিজেদের দখলে নেওয়া দক্ষিণ আফ্রিকার তিনটি উইকেট শেষ সেশনে তুলে নিয়ে ম্যাচ জমিয়ে দিয়েছে স্বাগতিকরা। তৃতীয় দিন শেষে দক্ষিণ আফ্রিকা এগিয়ে আছে ২৯ রানে, হাতে আছে ৬টি উইকেট।
এর আগে ৩০৮ রান করে ৮৮ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় দিন শেষ করেছিল পাকিস্তান। হাতে ছিল কেবল দুটি উইকেট। অর্থাৎ ছিলেন কেবল তিন বোলার হাসান আলি, নোমান আলি ও ইয়াসির শাহ। তারা তিন জন মিলেই পাকিস্তানকে শেষ পর্যন্ত ৩৭৮ রানে নিয়ে যান। হাসান ২১ ও নোমান ২৪ রানে আউট হন। ৩৮ রানে অপরাজিত থাকেন ইয়াসির। প্রথম ইনিংসে পাকিস্তান পায় ১৫৮ রানের লিড।
দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে কাগিসো রাবাদা ও কেশব মহারাজ তিনটি করে এবং এনরিক নর্টজে ও লুঙ্গি এনগিদি দুটি করে উইকেট শিকার করেন। পাশাপাশি, হাসান আলির উইকেট শিকারের মাধ্যমে তৃতীয় দ্রুততম বোলার হিসেবে টেস্টে দুইশত উইকেট শিকারের রেকর্ড গড়েন রাবাদা।
১৫৮ রানের বোঝা মাথায় নিয়ে ব্যাটিংয়ে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে সফরকারীরা পায় ৪৮ রানের জুটি। অভিজ্ঞ ডিন এলগার শিকার হন লেগ স্পিনার ইয়াসিরের। ২৯ রান করেন তিনি। তবে দ্বিতীয় উইকেটে এইডেন মার্করাম ও ফন ডার ডুসেন গড়েন ১২৭ রানের বড় জুটি। থিতু হওয়া এই জুটিও ভাঙেন ইয়াসির শাহ। ডুসেন ফেরেন ১৫১ বলে ৬৪ রান করে।
শেষ বিকেলে আরও একটি উইকেট পেয়ে যান পাকিস্তানি লেগ স্পিনার। সফরকারী দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান ফ্যাফ ডু প্লেসিসকে ১০ রানেই সাজঘরের পথ দেখান ইয়াসির। পরের ওভারেই আরেক স্পিনার নোমানের শিকার হন মার্করাম। তার ২২৪ বলে ৭৪ রানের ধৈর্যশীল ইনিংসে ছিল ১০টি চারের মার।
যাতে প্রোটিয়ারা তৃতীয় দিন শেষ করেছে ৪ উইকেটে ১৮৭ রান নিয়ে। ২৯ রানের লিড নিয়েছে তারা। ক্রিজে অপরাজিত আছেন অধিনায়ক কুইন্টন ডি কক ও নাইটওয়াচম্যান কেশভ মহারাজ। তবে এদিনের শেষটায় স্পিন যেভাবে কাজ শুরু করেছে, তাতে এক টেম্বা বাভুমা ছাড়া বাকীরা ইয়াসির ও নোমানকে কিভাবে সামাল দেয়, সেটাই এখন দেখার বিষয়।