রূপসা প্রতিনিধি :
খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মোঃ ইসমাইল হোসেন (এনডিসি) বলেছেন, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সৃষ্টিকর্ম মিশে আছে বাঙ্গালীর শিক্ষা সাহিত্য ও সংস্কৃতির চেতনায়। তিনি বলেন, রবীন্দ্রনাথকে বাদ দিয়ে বাংলাসাহিত্যের অস্তিত্ব কখনোই কল্পনা করা যায় না। তিনি তার লেখনীতে ফুঁটিয়ে তুলেছেন সোনার বাংলার প্রকৃত রূপ। তার লেখা গান স্বাধীনতা যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের উজ্জীবিত করেছিলো।
তিনি আরো বলেন, বিশ্বকবি রবি ঠাকুর শুধু বাংলাদেশের বা বাঙালির কবি ছিলেন না, তিনি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ কবি ছিলেন। শুধু তাই নয় তার রচিত জাতীয় সংগীত গাওয়া হচ্ছে ৩টি দেশে। তিনি ধণাঢ্য পরিবারে জন্মগ্রহন করেও শোষিত-বঞ্চিত অসহায় ও মেহনতী মানুষের পাশে দাঁড়াতেন। মানবতার হাত বাড়িয়ে দিতেন। এসব নানা কারণে হাজার বছর পরও বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে মনে রাখবে বাঙ্গালি জাতি।
বিশ^কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬১তম জন্ম বার্ষিকী উপলক্ষে ০৮ মে সকাল ১০টায় রূপসা উপজেলার পিঠাভোগে কবির পূর্ব পুরুষের বসত ভিটায় তিন দিন ব্যাপী আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। রূপসা উপজেলা প্রশাসন ও রবীন্দ্র স্মৃতি সংগ্রহশালা এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
খুলনা জেলা প্রশাসক মোঃ মনিরুজ্জামান তালুকদারের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন সাংস্কৃতিক বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব অসীম কুমার দে, খুলনা জেলা পুলিশ সুপার মোঃ মাহবুব হাসান (বিপিএম), অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট পুলক কুমার মন্ডল ও উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ কামাল উদ্দিন বাদশা। স্বাগত বক্তৃতা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুবাইয়া তাছনিম। অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও রবীন্দ্র গবেষক অধ্যাপক সুশান্ত সরকার।
কৃষি কর্মকর্তা মোঃ ফরিদুজ্জামান, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ফারহানা ইয়াসমিন ও সাংবাদিক কৃষ্ণ গোপাল সেন এর যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ সাজ্জাদ হোসেন, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফারহানা আফরোজ মনা, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য অধ্যক্ষ ফ,ম,আ, সালাম, ঘাটভোগ ইউপি চেয়াারম্যান মোল্লা ওয়হিদুজ্জামান মিজান। এসময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাজু আহমেদ, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. প্রদীপ কুমার মজুমদার, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডা. শেখ শফিকুল ইসলাম, জেলা শিল্পকলা একাডেমীর কালচারাল অফিসার সুজিত কুমার সাহা, উপজেলা নির্বাচন অফিসার মোল্লা নাসির আহমেদ, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ আরিফ হোসেন, হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মদন কুমার দাস, উপজেলা প্রকৌশলী এস এম ওয়হিদুজ্জামান, উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা তারেক ইকবাল আজিজ, আইসিটি কর্মকর্তা রেজাউল করিম, ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যাপক আশরাফুজ্জামান বাবুল, ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ইসহাক সরদার, আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল মজিদ ফকির, সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা, আলাইপুর ডিগ্রী কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক আল মামুন সরকার, পিঠাভোগ ডিজিসি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কৃষ্ণপদ রায়, শিক্ষক নজরুল ইসলাম, এ্যাড. সুশীল কুমার পাল, রূপসা প্রেসক্লাবের সভাপতি এস এম মাহবুবুর রহমান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলাম ডালিম, সাংবাদিক আল মাহমুদ প্রিন্স, খান আব্দুল জব্বার শিবলী, চিত্ত রঞ্জন সেন, মোস্তাফিজুর রহমান, চন্দন ভট্টাচার্য্য ও বিএম শহিদুল্লাহ।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে