রাজশাহী প্রতিনিধিঃ-
সাংবাদিকরা ভালোনা স্যার,একটু কিছু হলেই লেগে পড়ে পুলিশের বিরুদ্ধে,ওমুক সাংবাদিকের সাথে স্যার আমার সম্পর্ক ভালনা তাই স্যার আমার নামে নিউজ হয়েছে স্যার।
জ্বি স্যার, আমার কোন দোষ নাই স্যার। আমাকে এই বিষয়ে ফাঁসানো হচ্ছে স্যার।
যখন কোন পুলিশের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ হয় ঠিক তখন ঐ পুলিশ সদস্য এই সকল বুলি আওড়ান।বিষয়টা অনেকটা এইরকম যেন সাংবাদিকের সাথে ঐ পুলিশ সদস্যর পরিবারগত কিংবা জাতিগত দ্বন্দ্ব রয়েছে।
প্রকৃতপক্ষে বিষয়টি পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তারাও বোঝেন। তাই তো নীতিভ্রষ্ট পুলিশ সদস্যদের বিচার সম্ভব হয় বৈকি।
এদিকে রাজশাহী কাঁটাখালী থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই জাহাঙ্গীরের ঘুষ, দূর্নীতি, চাঁদাবাজীসহ বিভিন্ন বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ হয় কয়েকটি স্থানীয় ও জাতীয় গনমাধ্যমে। সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পরপরেই বিভিন্ন সাংবাদিকের নামে অশালীন ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করতে থাকেন কন্সটেবল থেকে এসআই হওয়া এই পুলিশ সদস্য।
তবে এদিকে সার্বিক অনুসন্ধানে কাঁটাখালী অঞ্চলের বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষ থেকে শুরু করে মাঠে কাজ করা চাষী পর্যন্ত মুখ খুলতে শুরু করেছেন কাঁটাখালী থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই জাহাঙ্গীরের বিভিন্ন অনিয়ম ও প্রহসন নিয়ে।
সম্প্রতি আটক বানিজ্যের মধ্যে অন্যত্তম উল্লেখযোগ্য কাজ করে কাটাখালী থানার ৫০০ গজ দূরে অবস্থিত লালনের সাথে।
৭ গ্রাম হেরোইনসহ লালনকে আটক করেন কাঁটাখালী থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই জাহাঙ্গীর। আটকের পরপরেই নিয়ে যান থানায়। এরপর মামলা না দেয়ার শর্তে লালনের পরিবারের কাছে নেন (পঞ্চাশ হাজার) ৫০,০০০ টাকা।
ঘটনাটির বিস্তর বিবরন জানিয়ে এশার নামাজ পড়ে বাড়ি ফেরত আসা একই এলাকার লালনের প্রতিবেশী ফয়েজ বলেন – রাতে দেখলাম লালনকে হ্যান্ডকাফ দিয়ে ধরে নিয়ে যেতে। শুনলাম হেরোইন পেয়েছে কিন্তু পরে শুনলাম ওটা হিরোইন ছিলনা ওটা নাকি দশনচূর্ন দাঁত মাজা পাউডার ছিল।তাই হিরোইন সন্দেহে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।পরে এলাকাবাসীর কাছে শুনলাম ৫০ হাজার টাকা নিয়ে লালনকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
তবে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশে এই এসআই সুদীর্ঘ বছর ধরে যে রাজশাহীতে আছেন এতে কোন সন্দেহ নেই।কিন্তু অজানা ও অদৃশ্য কারনে এই ১৫ বছরে রাজশাহীর বাহিরে তার পোষ্টিং হয়নি।
আরোও উল্লেখ্য যে,এসআই জাহাঙ্গীরের অনিয়ম নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হওয়ায় তিনি সাংবাদিকের নামে এরই মাঝে বিভিন্ন কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করতে শুরু করেছেন। যাকে নিয়ে মন্তব্য করছেন তিনি একজন সম্মানিত সাংবাদিক ও প্রেসক্লাবের সভাপতি। জাহাঙ্গীরের অনিয়মের তদন্ত পূর্বক দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়েছেন রাজশাহীর একাধিক মিডিয়া কর্মীরা।
এদিকে রাজশাহীর সুশীল সমাজের ধারকরা বলেছেন- নীতিভ্রষ্ট এই সকল এসআই দায়িত্বে থাকলে সাধারন মানুষ যেমন একদিকে বিপদে পড়বে তেমনি রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের সফলতার প্রতিবন্ধকতা হয়েও দাঁড়িয়েছে।