রাজশাহী প্রতিনিধিঃ

রাজশাহী নগরীতে পুলিশের সোর্স পরিচয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ মাদক ব্যবসা ও জুয়ার বোর্ড চালিয়ে আসছিল কথিত সোর্স রুবেল।

সে আসাম কলোনী রবের মোড়ের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে। রুবেলের মাদক ও জুয়া সহ লোক ফাঁসানোর ঘটনায় বহুবার সংবাদ প্রকাশ হয়েছে। দৈনিক কালেরকণ্ঠ পত্রিকায় শীর্ঘ মাদক ব্যবসায়ীদের তালিকায় তার সংবাদ প্রকাশ হয়। এবার মাদক নিয়ে দন্দে কথিত সোর্সকে গণধোলাইয়ের দিয়েছে এলাকাবাসী।

৫ নভেম্বর বৃহঃপতিবার সকাল ১১ টায় আসাম কলোনী রবের মোড়ে মাদক বিক্রির আদিপত্য বিস্তার করতে গিয়ে বাধার সমূখিন হলে রুবেলসহ তার সাঙ্গপাঙ্গকে ধাওয়া করেন এলাকাবাসী।

জানা যায়, চন্দ্রিমা থানা এলাকায় একক আধিপত্য বিস্তার করে মাদক বিক্রি করছে রুবেল। জুয়া বোর্ড পরিচালনা থেকে শুরু করে নিরিহ সাধারণ মানুষকে ফাঁসিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেয় রুবেল। তার এই কাজে সহযোগিতা করেন কতিপয় অসাধু পুলিশ সদস্য। আসাম কলোনী রবের মোড়ে মাদক বিক্রিতে প্রায় কয়েক ডজন যুবক ছেলে নিয়োগ দেওয়া আছে রুবেলের। তার নিজস্ব কোন ব্যবসায় বা কর্ম না থাকলেও মাদক বিক্রি ও জুয়া পরিচালনা করে এখন লক্ষ লক্ষ টাকার মালিক বনে গেছেন। বৃহঃপতিবার সকাল ১১ টায় এলাকায় মাদকের আদিপত্য বিস্তার নিয়ে এলাকার সাধারণ মানুষজনের সঙ্গে দন্দে জড়ান রুবেল। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে এলাকাবাসী তাকে গণধোলাই দেয়।

প্রকৃত ঘটনার বরাতে জানা যায়, রুবেল তার সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে এলাকায় মাদক বিক্রির চেষ্টা করলে ইমান আলী প্রতিবাদ করেন। এতে ইমান আলীকে রুবেলের সাঙ্গপাঙ্গ মারধর করেন। ইমান আলী গুরুতর অসুস্থ হলে এলাকাবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে রুবেলকেও মারধর করেন। এতে দুই গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। উভয় গ্রুপের সদস্যরা বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার জন্য ভর্তি হয়েছে।

এ বিষয়ে চন্দ্রিমা থানার ওসি সিরাজুম মনির জানায়, মারামারি ঘটনা শুনেছি। অভিযোগ পেলে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নিবো। এছাড়াও রুবেল আমার থানার সোর্স নয়। সে মাদক ব্যবসা ও জুয়ার সঙ্গে জড়িত বিষয়টি লোক মারফত জানতে পেরেছি। তবে আমার থানা এলাকায় জুয়ার বোর্ড নেই বলেও জানান ওসি।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে