Dhaka ১১:২৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৪ মে ২০২৫, ২১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কখনো মৌসুমী ছিলেন, ভুলে যেতে চান অভিনেত্রী

  • Reporter Name
  • Update Time : ১২:১৬:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ মে ২০২৫
  • ১৮ Time View

দীর্ঘদিন ধরেই যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন ঢাকাই সিনেমার ‘প্রিয়দর্শিনী’ মৌসুমী। ফলে লম্বা সময় ধরেই অভিনয়ের বাইরে তিনি।

মৌসুমীকে কি আর অভিনয়ে দেখা যাবে? সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সেই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন তার স্বামী ওমর সানী। তিনি জানালেন, এই চিত্রনায়িকা হয়তো আর পর্দায় ফিরছেন না।

ওমর সানী জানান, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে নিউ জার্সিতে মেয়েকে নিয়ে মৌসুমী রয়েছেন তার মায়ের সঙ্গে। সেখানেই মন দিয়েছেন পরিবারে। দেশে ফেরার কোনো পরিকল্পনা আপাতত নেই।

তিনি বলেন, ‘মৌসুমী এখনই ফিরছেন না। মেয়ের পড়াশোনা আর শাশুড়ির অসুস্থতা—সব মিলিয়ে পরিবারই তার অগ্রাধিকার।’

নিজের অভিনয়ের জীবন এখন ভুলে যেতে চান মৌসুমী। স্ত্রীর মানসিক অবস্থাও তুলে ধরে সানী বলেছেন, ‘ও বলেছে—সে নাকি ভুলে যেতে চায়, সে কোনোদিন মৌসুমী ছিল! এই কথাটা খুব কষ্টের।’

আক্ষেপ করে তিনি যোগ করেন, ‘তার মতো একজন লিজেন্ডকে নিয়ে ভালো কাজের ভাবনাই কারও মধ্যে নেই। নতুনদের মধ্যে অনেকেই নিজেদের মৌসুমীর চেয়েও বড় তারকা ভাবে—এটাও একটা বাস্তবতা।’

এর আগেও এক সাক্ষাৎকারে মিডিয়া ছাড়ার কথা জানিয়েছিলেন মৌসুমী। সেসময় তিনি বলেছিলেন, ‘প্রথমত আমি বলব, আমি যদি মরে যাই আমার সব ভুলের জন্য ক্ষমা চাই সবার কাছে। ক্ষমা করে দেবেন। আমার কয়েকটি ইচ্ছে আছে, একটি হলো আমি মারা যাবার পর আমার লাশ যেন কাউকে দেখতে দেওয়া না হয়। যেন খুব সিক্রেটলি কবর দেয়া হয়। জানাজা হবে। কিন্তু আমি চাই না আমাকে আর কেউ দেখুক।’

মৃত্যুর আগে হজে যাওয়ার ইচ্ছার কথা জানিয়ে মৌসুমী বলেন, ‘আমি মারা যাবার আগে বড় হজ করতে চাই। আমি যেন হজ করতে পারি সেজন্য সবাই দোয়া করবেন।’

মৌসুমী আরও বলেন, ‘আমি মারা যাবার পর টিভিতে ধুমধাড়াক্কা ছবি এবং দর্শকদের কাছে অনেক ছবি রয়ে গেছে সেগুলো ডিলিট করে দেবেন। তবে ছবি যদি সংগ্রহ করতে হয় তাহলে মৌসুমী আর্কাইভে আলাদাভাবে সংরক্ষণ করতে হবে। সেখানেই সবাই আমার সব কিছু জমা দিয়ে দেবেন। যদি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য আমার কোনো কাজ মনে হয় আর্কাইভে রাখলে ভালো হবে বা গবেষণার কাজে আসবে তবে সে উদ্দেশ্যেই ছবিগুলো সংরক্ষণ হবে। অবশ্যই বাছাইকৃত ছবিগুলো জমা দেওয়া হবে। এছাড়া অন্য সব কিছু ডিলিট করে দিলে ভালো হবে।’

উল্লেখ্য, মৌসুমী ১৯৯৩ সালে ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ সিনেমার মাধ্যমে বড় পর্দায় পা রাখেন। নায়ক ছিলেন প্রয়াত সালমান শাহ। এরপর একের পর এক হিট সিনেমায় অভিনয় করে হয়ে উঠেছেন ঢাকাই সিনেমার সবচেয়ে জনপ্রিয় ও সম্মানিত অভিনেত্রীদের একজন। পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ বহু সম্মাননা।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

কখনো মৌসুমী ছিলেন, ভুলে যেতে চান অভিনেত্রী

Update Time : ১২:১৬:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ মে ২০২৫

দীর্ঘদিন ধরেই যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন ঢাকাই সিনেমার ‘প্রিয়দর্শিনী’ মৌসুমী। ফলে লম্বা সময় ধরেই অভিনয়ের বাইরে তিনি।

মৌসুমীকে কি আর অভিনয়ে দেখা যাবে? সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সেই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন তার স্বামী ওমর সানী। তিনি জানালেন, এই চিত্রনায়িকা হয়তো আর পর্দায় ফিরছেন না।

ওমর সানী জানান, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে নিউ জার্সিতে মেয়েকে নিয়ে মৌসুমী রয়েছেন তার মায়ের সঙ্গে। সেখানেই মন দিয়েছেন পরিবারে। দেশে ফেরার কোনো পরিকল্পনা আপাতত নেই।

তিনি বলেন, ‘মৌসুমী এখনই ফিরছেন না। মেয়ের পড়াশোনা আর শাশুড়ির অসুস্থতা—সব মিলিয়ে পরিবারই তার অগ্রাধিকার।’

নিজের অভিনয়ের জীবন এখন ভুলে যেতে চান মৌসুমী। স্ত্রীর মানসিক অবস্থাও তুলে ধরে সানী বলেছেন, ‘ও বলেছে—সে নাকি ভুলে যেতে চায়, সে কোনোদিন মৌসুমী ছিল! এই কথাটা খুব কষ্টের।’

আক্ষেপ করে তিনি যোগ করেন, ‘তার মতো একজন লিজেন্ডকে নিয়ে ভালো কাজের ভাবনাই কারও মধ্যে নেই। নতুনদের মধ্যে অনেকেই নিজেদের মৌসুমীর চেয়েও বড় তারকা ভাবে—এটাও একটা বাস্তবতা।’

এর আগেও এক সাক্ষাৎকারে মিডিয়া ছাড়ার কথা জানিয়েছিলেন মৌসুমী। সেসময় তিনি বলেছিলেন, ‘প্রথমত আমি বলব, আমি যদি মরে যাই আমার সব ভুলের জন্য ক্ষমা চাই সবার কাছে। ক্ষমা করে দেবেন। আমার কয়েকটি ইচ্ছে আছে, একটি হলো আমি মারা যাবার পর আমার লাশ যেন কাউকে দেখতে দেওয়া না হয়। যেন খুব সিক্রেটলি কবর দেয়া হয়। জানাজা হবে। কিন্তু আমি চাই না আমাকে আর কেউ দেখুক।’

মৃত্যুর আগে হজে যাওয়ার ইচ্ছার কথা জানিয়ে মৌসুমী বলেন, ‘আমি মারা যাবার আগে বড় হজ করতে চাই। আমি যেন হজ করতে পারি সেজন্য সবাই দোয়া করবেন।’

মৌসুমী আরও বলেন, ‘আমি মারা যাবার পর টিভিতে ধুমধাড়াক্কা ছবি এবং দর্শকদের কাছে অনেক ছবি রয়ে গেছে সেগুলো ডিলিট করে দেবেন। তবে ছবি যদি সংগ্রহ করতে হয় তাহলে মৌসুমী আর্কাইভে আলাদাভাবে সংরক্ষণ করতে হবে। সেখানেই সবাই আমার সব কিছু জমা দিয়ে দেবেন। যদি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য আমার কোনো কাজ মনে হয় আর্কাইভে রাখলে ভালো হবে বা গবেষণার কাজে আসবে তবে সে উদ্দেশ্যেই ছবিগুলো সংরক্ষণ হবে। অবশ্যই বাছাইকৃত ছবিগুলো জমা দেওয়া হবে। এছাড়া অন্য সব কিছু ডিলিট করে দিলে ভালো হবে।’

উল্লেখ্য, মৌসুমী ১৯৯৩ সালে ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ সিনেমার মাধ্যমে বড় পর্দায় পা রাখেন। নায়ক ছিলেন প্রয়াত সালমান শাহ। এরপর একের পর এক হিট সিনেমায় অভিনয় করে হয়ে উঠেছেন ঢাকাই সিনেমার সবচেয়ে জনপ্রিয় ও সম্মানিত অভিনেত্রীদের একজন। পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ বহু সম্মাননা।