কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুগ্রুপের দফায় দফায় সংঘর্ষে ২ রোহিঙ্গা নিহত হয়েছে। এ সময় আহত হয়েছে কমপক্ষে ১০ রোহিঙ্গা।
আজ রোববার ভোর ৪টার দিকে উখিয়ার কুতুপালংয়ের ব্লক ডি-৫ এবং ই-ব্লকের মাঝামাঝি স্থানের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, ওই ক্যাম্পের ইমাম শরীফ (৩০) ও শামশুল আলম (২৮)। আহতদের পরিচয় পাওয়া যায়নি। তাদের উখিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতাল ও রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। এর আগে গত ৩০ সেপ্টেম্বর স্থানীয় মুন্না গ্রুপ ও আনাস গ্রুপের মধ্যে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব নিয়ে বিক্ষিপ্তভাবে একের পর এক সংঘর্ষ চলে আসছিল।
উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের দায়িত্বরত ১৪ নং এপিবিএনের ইন্সপেক্টর ইয়াছিন ফারুক জানান, ‘নিবন্ধিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের একটি গ্রুপের সঙ্গে অনিবন্ধিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মধ্যে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব ও আধিপত্য নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় ভোররাতে দুগ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে দুইজন নিহত হয়েছে। এর আগে ৩০ সেপ্টেম্বর একইভাবে সংঘর্ষে ১৫ জনেরও বেশি রোহিঙ্গা আহত হয়।’
সত্যতা নিশ্চিত করে উখিয়া থানার ওসি (তদন্ত) গাজী সালাহউদ্দিন জানান, ‘সংঘর্ষের খবরে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।’
নাম প্রকাশে একাধিক রোহিঙ্গারা জানান, ‘ক্যাম্প নিয়ন্ত্রণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে রোহিঙ্গা নেতা মৌলভী আবু আনাস ও মো. রফিকের নেত্বত্বে মুন্না গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় গুলি বর্ষণ ও হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় সন্ত্রাসীদের হামলায় কুতুপালং ই-ব্লকের ১০/১৫ টি ঝুপড়ী ঘর ভাংচূর করে। এর আগে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা একটি সিএনজিসহ ড্রাইভারকে দিনে দুপুরে অপহরণ করে ৪ লাখ টাকা দাবি করে।’
উল্লেখ্য, কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফে অবস্থিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ অভ্যন্তরে মাদক, দোকানসহ বিভিন্ন ইস্যুকে কেন্দ্র দ্বন্দ্ব ও আধিপত্য নিয়ে একের পর এক সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ছে। এতে করে স্থানীয় জনগোষ্ঠী ও সাধারণ রোহিঙ্গাদের মাঝে ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে।