ক্রীড়া ডেস্ক:

ওয়ানডে ক্রিকেটে নতুন এক ইতিহাস রচনা করলো ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরা। আমস্টেলভিনে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে চার-ছক্কার বন্যা বইয়ে ওয়ানডে ক্রিকেটে দলীয় সবচেয়ে বেশি ৪৯৮ রান তুলেছে ইংল্যান্ড।

যা ৫০ ওভারের ক্রিকেটে বিশ্বরেকর্ড।

টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুতেই জেসন রয়কে হারায় ইংল্যান্ড। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে শেন স্নেটারের বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন জেসন রয়। ডানহাতি এই ওপেনার ১ রানে ফিরলেও দ্বিতীয় উইকেটে দারুণ জুটি গড়ে তোলেন সল্ট ও মালান। ঝড়ো ব্যাটিংয়ে পাওয়ার প্লেতে তারা দু’জনে মিলে তোলেন ৭৬ রান।

পাওয়ার প্লে শেষ হতেই হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন সল্ট। দলের দেড়শ’ ছোঁয়ার আগে হাফ সেঞ্চুরি আদায় করেন মালানও। পুরো ইনিংসেই ছন্দে ছিল না নেদারল্যান্ডসের বোলাররা। যা কাজে লাগাতে ভুল করেননি ইংলিশ ব্যাটসম্যানরা। ৮২ বলে শতক তুলে নেন সল্ট। সেঞ্চুরির পর আক্রমণাত্মক ব্যাটিং শুরু করলে ইনিংস বড় করতে পারেননি সল্ট।

ভ্যান বিকের বলে ক্যাচ দিয়ে ১২২ রানে ফেরেন তিনি। তাতে ভাঙে মালানের সঙ্গে সল্টের ২২২ রানের জুটি। সল্টের বিদায়ের পর ৯০ বলে সেঞ্চুরি করেন মালান। ওয়ানডেতে যা তার প্রথম সেঞ্চুরি। এই শতকে বাটলার ও হেইদার নাইটের পর তৃতীয় ইংলিশ ক্রিকেটার হিসেবে তিন ফরম্যাটেই সেঞ্চুরি করেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান।

এরপর মালানকে সঙ্গে নিয়ে ডাচ বোলারদের ওপর তান্ডব চালান বাটলার মাত্র ৪৭ বলে সেঞ্চুরি করেন তিনি। শতকের পর মারমুখী হয়ে ওঠেন এই ক্রিকেটার। তবে ১২৫ রান করে মালান আউট হলে জুটি বড় করতে পারেনি বাটলার।

ইংল্যান্ডের রাজকীয় দিনেও ব্যাট হাতে ব্যর্থ হয়েছেন ইয়ন মরগান। ইংল্যান্ডের অধিনায়ক ফিরেছেন শূন্য রানে। এরপর বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে ইংল্যান্ডের রান বাড়িয়েছেন লিভিংস্টোন। মাত্র ১৭ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। তাতে ভাঙতে পারেননি এবি ডি ভিলিয়ার্সের রেকর্ড। তবে এটি ইংল্যান্ডের হয়ে সবচেয়ে দ্রুততম ওয়ানডে সেঞ্চুরির রেকর্ড।

এদিন অল্পের জন্য ডি ভিলিয়ার্সের রেকর্ড নিজের করে নিতে পারেননি বাটলারও। ৬৪ বলে দেড়শ’ রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন তিনি। যেখানে ডি ভিলিয়ার্স দেড়শ’ ছুঁয়েছিলেন ৬৩ বলে। শেষ পর্যন্ত দু’জনের দারুণ ব্যাটিংয়ে ৫০ ওভারে ৪৯৮ রান তুলে ইংল্যান্ড। ৬৬ রানে লিভিংস্টোন এবং বাটলার অপরাজিত ছিলেন ১৬২ রানে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে