Dhaka ০২:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫, ২৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ওহা সে গোলি চলেগি, ইহা সে গোলা চলেগা : মোদি

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৩:৫১:৪৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫
  • ৭ Time View

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশটির সশস্ত্র বাহিনীকে বলেছেন, পাকিস্তানের প্রতিটি পদক্ষেপের প্রতি তার দেশের প্রতিক্রিয়া আরও জোরালো হওয়া উচিত। পাকিস্তানে ভারতের হামলার পর তার এই বক্তব্য সামনে এলো।

মূলত ভারতের ওই হামলার জবাবে ভারতের বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে পাকিস্তানও ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্রসহ অন্যান্য অস্ত্র ব্যবহার করে পাল্টা হামলা চালায়। পাল্টাপাল্টি হামলার মধ্যেই গত শনিবার যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় উভয় দেশ।

রোববার (১১ মে) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

ভারতের সরকারি সূত্রে জানানো হয়েছে, মোদি ভারতীয় সেনাবাহিনীকে নির্দেশ দিয়ে বলেন, “ওহা সে গোলি চলেগি, ইহা সে গোলা চলেগা (ওদিক থেকে যদি গুলি চালানো হয়, তবে এখান থেকে গোলা ছোড়া হবে)।”

ভারতীয় সূত্রগুলো এটিকে একটি মোড় ঘোরানো সিদ্ধান্ত বলে উল্লেখ করেছে, বিশেষ করে ভারতের বিমানঘাঁটিতে পাকিস্তানের হামলার পরিপ্রেক্ষিতে।

এর আগে, ভারত ‘অপারেশন সিন্দুর’ নামে একটি সামরিক অভিযান চালিয়ে পাকিস্তানের কয়েকটি স্থানে আক্রমণ চালায়। ভারতীয় যুদ্ধবিমান থেকে লঞ্চ করা অস্ত্র ব্যবহার করে এই হামলাগুলো করা হয়। ভারত মনে করছে, এই হামলার মাধ্যমে পাকিস্তান থেকে সীমান্তে গোলাবর্ষণ ও ড্রোন হামলার জবাব দেওয়া হয়েছে।

ভারতের সরকারি সূত্র বলছে, ‘অপারেশন সিন্দুর’ এখনো শেষ হয়নি এবং ‘সন্ত্রাসবাদের’ মোকাবিলায় ভারতের প্রতিক্রিয়া এখন থেকে এক নতুন দৃষ্টান্ত গড়বে।

এছাড়া কাশ্মির ইস্যুতে ভারতের অবস্থানও স্পষ্ট করে জানানো হয়েছে— এই ইস্যুতে কোনও মধ্যস্থতা ভারত মেনে নেবে না এবং এই বিষয়ে একমাত্র আলোচনা হতে পারে পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রণে থাকা কাশ্মিরি এলাকা ফেরত দেওয়া নিয়ে।

এর আগে রোববার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতিতে অভিনন্দন জানিয়ে কাশ্মির বিষয়ে মধ্যস্থতার প্রস্তাব দেন। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যাল-এ দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, “আমি আপনাদের (ভারত ও পাকিস্তান) সঙ্গে কাজ করব, যদি হাজার বছরের পর কোনও সমাধানে পৌঁছানো সম্ভব হয়।”

তবে ভারতের সরকারি সূত্র জানিয়েছে, পাকিস্তানের সঙ্গে কোনও রাজনৈতিক আলোচনা নয়—শুধু দুই দেশের সেনাবাহিনীর ডিজিএমও পর্যায়ে যোগাযোগ চলবে। তাদের ভাষায়, “এই মুহূর্তে আলোচনার আর কোনও বিষয় নেই।”

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

ওহা সে গোলি চলেগি, ইহা সে গোলা চলেগা : মোদি

Update Time : ০৩:৫১:৪৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশটির সশস্ত্র বাহিনীকে বলেছেন, পাকিস্তানের প্রতিটি পদক্ষেপের প্রতি তার দেশের প্রতিক্রিয়া আরও জোরালো হওয়া উচিত। পাকিস্তানে ভারতের হামলার পর তার এই বক্তব্য সামনে এলো।

মূলত ভারতের ওই হামলার জবাবে ভারতের বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে পাকিস্তানও ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্রসহ অন্যান্য অস্ত্র ব্যবহার করে পাল্টা হামলা চালায়। পাল্টাপাল্টি হামলার মধ্যেই গত শনিবার যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় উভয় দেশ।

রোববার (১১ মে) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

ভারতের সরকারি সূত্রে জানানো হয়েছে, মোদি ভারতীয় সেনাবাহিনীকে নির্দেশ দিয়ে বলেন, “ওহা সে গোলি চলেগি, ইহা সে গোলা চলেগা (ওদিক থেকে যদি গুলি চালানো হয়, তবে এখান থেকে গোলা ছোড়া হবে)।”

ভারতীয় সূত্রগুলো এটিকে একটি মোড় ঘোরানো সিদ্ধান্ত বলে উল্লেখ করেছে, বিশেষ করে ভারতের বিমানঘাঁটিতে পাকিস্তানের হামলার পরিপ্রেক্ষিতে।

এর আগে, ভারত ‘অপারেশন সিন্দুর’ নামে একটি সামরিক অভিযান চালিয়ে পাকিস্তানের কয়েকটি স্থানে আক্রমণ চালায়। ভারতীয় যুদ্ধবিমান থেকে লঞ্চ করা অস্ত্র ব্যবহার করে এই হামলাগুলো করা হয়। ভারত মনে করছে, এই হামলার মাধ্যমে পাকিস্তান থেকে সীমান্তে গোলাবর্ষণ ও ড্রোন হামলার জবাব দেওয়া হয়েছে।

ভারতের সরকারি সূত্র বলছে, ‘অপারেশন সিন্দুর’ এখনো শেষ হয়নি এবং ‘সন্ত্রাসবাদের’ মোকাবিলায় ভারতের প্রতিক্রিয়া এখন থেকে এক নতুন দৃষ্টান্ত গড়বে।

এছাড়া কাশ্মির ইস্যুতে ভারতের অবস্থানও স্পষ্ট করে জানানো হয়েছে— এই ইস্যুতে কোনও মধ্যস্থতা ভারত মেনে নেবে না এবং এই বিষয়ে একমাত্র আলোচনা হতে পারে পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রণে থাকা কাশ্মিরি এলাকা ফেরত দেওয়া নিয়ে।

এর আগে রোববার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতিতে অভিনন্দন জানিয়ে কাশ্মির বিষয়ে মধ্যস্থতার প্রস্তাব দেন। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যাল-এ দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, “আমি আপনাদের (ভারত ও পাকিস্তান) সঙ্গে কাজ করব, যদি হাজার বছরের পর কোনও সমাধানে পৌঁছানো সম্ভব হয়।”

তবে ভারতের সরকারি সূত্র জানিয়েছে, পাকিস্তানের সঙ্গে কোনও রাজনৈতিক আলোচনা নয়—শুধু দুই দেশের সেনাবাহিনীর ডিজিএমও পর্যায়ে যোগাযোগ চলবে। তাদের ভাষায়, “এই মুহূর্তে আলোচনার আর কোনও বিষয় নেই।”