ক্রীড়া ডেস্ক:
তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে বাংলাদেশকে লজ্জায় ডুবিয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জিতেছে জিম্বাবুয়ে।
হারারেতে ২৯১ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৪৯ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকা স্বাগতিকদের পথ দেখিয়েছেন অধিনায়ক রেজিস চাকাভা ও সিকান্দার রাজা। বিশেষ করে সিকান্দার রাজার দারুণ পারফরম্যান্সে পরপর দুই ম্যাচে জয় পেলো জিম্বাবুয়ে।
আজকের ম্যাচে দুর্দান্ত অলরাউন্ড নৈপুণ্য উপহার দিয়েছেন তিনি। বল হাতে ৩ উইকেট নেওয়ার পর টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরি করে বাংলাদেশকে হারান তিনি।
দুই ডানহাতি রাজা ও চাকাভার রেকর্ড ২০১ রানের জুটিতে ১৫ বল হাতে রেখেই ৫ উইকেটে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় জিম্বাবুয়ে।
টস হেরে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ২৯০ রান করে বাংলাদেশ। মাহমুদউলাহ রিয়াদের অপরাজিত ৮০ এবং অধিনায়ক তামিম ইকবালের অর্ধশতকে ভর করে এই সংগ্রহ পায় সফরকারীরা।
সেই রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় জিম্বাবুয়ে। মাত্র ১৩ রানেই ২ উইকেট হারিয়ে বসে তারা। ইনিংসের প্রথম ও তৃতীয় ওভারে উইকেট দুটি তুলে নেন হাসান মাহমুদ। এরপর দলীয় ২৭ ও ৪৯ রানে আরও ২ উইকেট খোয়া যায় স্বাগতিকদের। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ঘুরে দাঁড়ায় জিম্বাবুয়ে।
তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের দুটোতেই অর্ধশতক হাঁকিয়ে স্বাগতিকদের সিরিজ জয়ের উলাসে ভাসিয়েছিলেন রাজা। ওয়ানডে সিরিজে আরো বিধ্বসী হয়ে উঠেন এই ডানহাতি। প্রথম ম্যাচে ৩০৪ রান টপকাতে নেমে হার না মানা ১৩৫ রানের ইনিংস খেলে জেতান দলকে। আজ রোববার দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশের দেওয়া ২৯১ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমেও দলকে ৫ উইকেটের জয় এনে দেন, খেলেন ১১৭ রানের ইনিংস।
অনবদ্য রাজার কল্যাণে ২০১৩ সালের পর, অর্থাৎ দীর্ঘ ৯ বছর পর বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জয়ের স্বাদ পেল জিম্বাবুয়ে। একই সঙ্গে উড়তে থাকা লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের টেনে হেঁচড়ে মাটিতে নামাল তারা। স¤প্রতি একদিনের ক্রিকেটে রীতিমত অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছিল টাইগাররা। নিজেদের খেলা শেষ ৫ ওয়ানডে সিরিজের সবগুলোতেই জয়। যার মধ্যে আছে শ্রীলঙ্কা, দক্ষিণ আফ্রিকা, উইন্ডিজের মতো দল।