২০১৮ সালের বিশ্বকাপ ফাইনালের মতো ক্রোয়েশিয়ার বিরুদ্ধে শেষ মুহূর্তে গোল দিয়ে দলকে জেতালেন কিলিয়ান এমবাপে।
বিশ্বকাপ ফাইনালে ফ্রান্স ৪-২ গোলে হারিয়েছিল ক্রোয়েশিয়াকে। আর এবারের নেশন্স লিগে তাদেরকে ২-১ ব্যবধানে হারাল ফ্রান্স। এই জয়ের মধ্য দিয়ে ক্রোয়েশিয়ার বিরুদ্ধে আট ম্যাচে অপরাজিত থাকলো বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।
বুধবার রাতে জাগরেভে অনুষ্ঠিত উয়েফা নেশন্স লিগে নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে ক্রোয়েশিয়াকে ২-১ গোলে হারিয়েছে ফ্রান্স। ম্যাচের শুরুতেই অতোঁয়ান গ্রিজমানের গোলে এগিয়ে যায় তারা। দ্বিতীয়ার্ধে স্বাগতিক দল সমতা ফিরিয়ে বসলে শেষ দিকে অতিথিদের জয়সূচক গোল এনে দেন এমবাপে।
তবে নিজেদের মাঠে ক্রোয়েশিয়া বল দখলে আধিপত্য দেখালেও সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি দলটি। বরং তাদের রক্ষণভাগের দুর্বলতার সুযোগে খেলার অষ্টম মিনিটে এগিয়ে যায় ফ্রান্স। এমবাপের ফ্রি-কিকের সূত্রে বল পেয়ে ডি-বক্সের মাঝামাঝি থেকে গোলটি করেন গ্রিজমান। এই গোলেই এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় ফ্রান্স।
ম্যাচের ৬২তম মিনিটে মিডফিল্ডার নিকোলা ভ্লাসিচ গোল করলে সমতায় ফেরে ক্রোয়েশিয়া। লুকা মডরিচ ও জোসিপ ব্রেকালোর দারুণ প্রচেষ্টায় বল পেয়ে চমৎকার শটে গোল করেন ভ্লাসিচ।
এরপর বদলি নেমে পল পগবা ফ্রান্সের সহজ সুযোগ নষ্ট করলেও ম্যাচের ৭৯তম মিনিটে পার্থক্য গড়ে দেন এমবাপে। লুকাস দিনিয়ের পাসে ডি-বক্সের মাঝ থেকে ডান পায়ের শটে গোলটি করেন তারকা এই ফরোয়ার্ড।
এই জয়ে চার ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দ্বিতীয়স্থানে আছে ফ্রান্স। একই সংখ্যক ম্যাচ খেলে সমান পয়েন্ট পেলেও গোল ব্যবধানে শীর্ষে আছে পর্তুগাল।
ম্যাচ শেষে ফ্রান্সের কোচ দিদিয়ের দেশম বলেছেন, ‘আমরা জানতাম, সত্যিকারের একটা লড়াই হবে। আমরা শুরুটা করেছিলাম দারুণ এবং আমরা পরিষ্কার দুটি গোল করতে পারিনি, এটা দুঃখজনক। কাইলিয়ানের বড় সুযোগ এসেছিল। দ্বিতীয়ার্ধে আমরা সঠিক কাজ করেছি।’
উল্লেখ্য. রাশিয়া বিশ্বকাপের ফাইনালে ক্রোয়েশিয়াকে ৪-২ হারিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয় ফ্রান্স। এছাড়া গত মাসে নেশন্স লিগের ম্যাচেও এই প্রতিপক্ষকে একই ব্যবধানে হারিয়েছিল তারা।