Dhaka ০২:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৮ মে ২০২৫, ২৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

এবার বোয়ালিয়া থানার ঘুষ বানিজ্যের ভিডিও ফাঁস

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৫:৩০:৩৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ নভেম্বর ২০২০
  • ৭০০ Time View

রাজশাহী প্রতিনিধি:

সম্প্রতি রাজশাহী বোয়ালিয়া মডেল থানা একের পর এক বিতর্কিত ঘটনার জন্ম দিয়েছে। রাজশাহীর স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম খবর২৪ঘন্টাডটকম বোয়ালিয়া মডেল থানার বেশ কিছু সংবাদ সংবাদ প্রকাশ করেছিল যা ছিল আলোচিত ও সমালোচিত।

এদিকে রাজশাহী বোয়ালিয়া থানার এএসআই মনিরের ঘুষ লেনদেন নিয়ে একটি চাঞ্চল্যকর ভিডিও প্রকাশ হয়েছে সম্প্রতি কয়েকটি গনমাধ্যমে।

উক্ত ভিডিওর বিষয়ে সরেজমিন অনুসন্ধানে জানা যায়, গত ২৫/৩/২০২০ ইং তারিখে রাজশাহী মতিহার থানাধীন মিজানের মোড় এলাকায় গোপনে অভিযান চালায় বোয়ালিয়া থানার একটি দল।এসময় সেখান থেকে মিজানের মোড় এলাকার জনৈক ফারুকের ছোট ভাই লিটনকে মাদক মামলার অজুহাতে আটক করে নিয়ে যায় বোয়ালিয়া থানার এএসআই মনির ও এএসআই ফেরদৌস।

এসময় বোয়ালিয়া থানার এএসআই মনির ও এএসআই ফেরদৌস লিটনের পরিবারের কাছে ১ লাখ টাকা দাবি করে।কিন্তু পুলিশের দাবিকৃত অর্থ দিতে না পারায় বোয়ালিয়া থানার ২য় তলায় নিয়ে যেয়ে এএসআই মনির ও এএসআই ফেরদৌস অমানবিক নির্যাতন চালাতে থাকে লিটনের উপর। এক পর্যায়ে এএসআই মনির লিটনের মোবাইলে লিটনের পরিবারের সাথে আবারোও যোগাযোগ করলে লিটন ফোনে তার পরিবারকে নির্যাতনের বর্ননা দেয় এবং তার পরিবারকে টাকা নিয়ে আসার জন্যও চাপ দেয়। এসময় লিটনের পরিবার ৫০ হাজার টাকা নিয়ে নগরীর একটি মোড়ে টাকা দেয়।সেই সাথে রেকর্ড করে নেয়া হয় টাকা লেনদেনের ভিডিও।

পরে লিটনকে ২৬/০৩/২০২০ তারিখে আরএমপি ধারায় চালান দেয়া হয়।

এ বিষয়ে বোয়ালিয়া থানার এএসআই মনিরের ০১৭৩৭৩১০৮৫৪ নাম্বারে ফোন দিলে তিনি জানান- আমার বলার কিছু নাই।

পক্ষান্তরে বোয়ালিয়া থানার এএসআই ফেরদৌসকে ০১৭৯৯৮৪৮৩৮৪ নাম্বারে ফোন দিলে তিনিও ফোন রিসিভ করেননি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

এবার বোয়ালিয়া থানার ঘুষ বানিজ্যের ভিডিও ফাঁস

Update Time : ০৫:৩০:৩৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ নভেম্বর ২০২০

রাজশাহী প্রতিনিধি:

সম্প্রতি রাজশাহী বোয়ালিয়া মডেল থানা একের পর এক বিতর্কিত ঘটনার জন্ম দিয়েছে। রাজশাহীর স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম খবর২৪ঘন্টাডটকম বোয়ালিয়া মডেল থানার বেশ কিছু সংবাদ সংবাদ প্রকাশ করেছিল যা ছিল আলোচিত ও সমালোচিত।

এদিকে রাজশাহী বোয়ালিয়া থানার এএসআই মনিরের ঘুষ লেনদেন নিয়ে একটি চাঞ্চল্যকর ভিডিও প্রকাশ হয়েছে সম্প্রতি কয়েকটি গনমাধ্যমে।

উক্ত ভিডিওর বিষয়ে সরেজমিন অনুসন্ধানে জানা যায়, গত ২৫/৩/২০২০ ইং তারিখে রাজশাহী মতিহার থানাধীন মিজানের মোড় এলাকায় গোপনে অভিযান চালায় বোয়ালিয়া থানার একটি দল।এসময় সেখান থেকে মিজানের মোড় এলাকার জনৈক ফারুকের ছোট ভাই লিটনকে মাদক মামলার অজুহাতে আটক করে নিয়ে যায় বোয়ালিয়া থানার এএসআই মনির ও এএসআই ফেরদৌস।

এসময় বোয়ালিয়া থানার এএসআই মনির ও এএসআই ফেরদৌস লিটনের পরিবারের কাছে ১ লাখ টাকা দাবি করে।কিন্তু পুলিশের দাবিকৃত অর্থ দিতে না পারায় বোয়ালিয়া থানার ২য় তলায় নিয়ে যেয়ে এএসআই মনির ও এএসআই ফেরদৌস অমানবিক নির্যাতন চালাতে থাকে লিটনের উপর। এক পর্যায়ে এএসআই মনির লিটনের মোবাইলে লিটনের পরিবারের সাথে আবারোও যোগাযোগ করলে লিটন ফোনে তার পরিবারকে নির্যাতনের বর্ননা দেয় এবং তার পরিবারকে টাকা নিয়ে আসার জন্যও চাপ দেয়। এসময় লিটনের পরিবার ৫০ হাজার টাকা নিয়ে নগরীর একটি মোড়ে টাকা দেয়।সেই সাথে রেকর্ড করে নেয়া হয় টাকা লেনদেনের ভিডিও।

পরে লিটনকে ২৬/০৩/২০২০ তারিখে আরএমপি ধারায় চালান দেয়া হয়।

এ বিষয়ে বোয়ালিয়া থানার এএসআই মনিরের ০১৭৩৭৩১০৮৫৪ নাম্বারে ফোন দিলে তিনি জানান- আমার বলার কিছু নাই।

পক্ষান্তরে বোয়ালিয়া থানার এএসআই ফেরদৌসকে ০১৭৯৯৮৪৮৩৮৪ নাম্বারে ফোন দিলে তিনিও ফোন রিসিভ করেননি।