করোনা পরিস্থিতিতে এবার ঈদুল আযহায় গত বছরের তুলনায় ৩০ লাখ পশু কম কোরবানি হতে পারে বলে ধারণা করছে প্রাণি সম্পদ মন্ত্রণালয়। এছাড়া পশুর চামড়া কেনা নিয়েও অনিশ্চয়তা সৃষ্টির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক ঋণ পুন:তফসিলের সুযোগ দিলেও ট্যানারী ব্যবসায়ীরা চাইছেন গত তিন বছরের ঋণের সুদ মওকুফ।

সাভারের চামড়া শিল্প নগরীতে বর্তমানে উৎপাদনে আছে ১শ ২০টি ট্যানারি। এসব ট্যানারির ৮০ ভাগ মালিকই ঋণ খেলাপী। চামড়া খাতে বিতরণ করা ৪ হাজার কোটি টাকা ঋণের মধ্যে সোয়া ৩ হাজার কোটি টাকাই দীর্ঘদিন ধরে খেলাপী।

দীর্ঘদিন ধরে বিশাল খেলাপী ঋণের বোঝা থাকায় নতুন করে আর ঋণ দিতে নারাজ ব্যাংকগুলো। তবে চামড়া কেনা নিয়ে যাতে কোন সংকট না হয় সেজন্য মালিকদের পুরোনো ঋণ পুন:তফসিলের সুযোগ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে এতেও খুশি নয় ট্যানারি শিল্পের উদ্যোক্তারা।

চাহিদার চেয়ে দেশে কোরবানিযোগ্য পশুর মজুদ বেশি থাকলেও করোনার প্রভাবে এবার গত বছরের তুলনায় কম পশু কোরবানি হবে বলে মনে করছেন প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

এই চামড়া কেনা নিয়ে যাতে কোন সমস্যা না হয় সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের সতর্ক থাকার আহবান জানান তিনি।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে