একাদশ জাতীয় সংসদের একাদশ অধিবেশন আজ শেষ হয়েছে। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর অধিবেশন সমাপ্তি সংক্রান্ত রাষ্ট্রপতির ঘোষণা পাঠ করার মধ্য দিয়ে এ অধিবেশন শেষ হয়।

শেষ দিনে আজকের বৈঠকে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ সংসদ ভবনে রাষ্ট্রপতির গ্যালারিতে অবস্থান করে অধিবেশনের কার্যক্রম প্রত্যক্ষ করেন।

এ ছাড়া আজ রাষ্ট্রপতির ভাষণে আনা ধন্যবাদে প্রস্তাবের ওপর আলোচনা শেষে সংসদে ১৯৭৫ সালের ১১ জানুয়ারি চট্টগ্রামে বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমিতে অফিসার্স ক্যাডেটদের প্রশিক্ষণ সমাপনি সমাবেশে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেয়া ভাষণ শোনানো হয়।

বছরের প্রথম অধিবেশন হিসাবে সংবিধান অনুযায়ি অধিবেশনের প্রথম দিন গত ১৮ জানুয়ারি রাষ্ট্রপতি ভাষণ দেন। পরদিন গত ১৯ জানুয়ারি চিফ হুইপ নুর- ই- আলম চৌধুরী রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাব উত্থাপন করলে সরকারি দলের সদস্য উপাধ্যক্ষ আবদুস শহীদ এ প্রস্তাব সমর্থন করেন। এর পর গত ১১ কার্য দিবস ভাষনের ওপর আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।

এ অধিবেশনের ১২ কার্যদিবসে মোট ৬টি বিল পাস হয়েছে। আইন প্রণয়ন কার্যাবলী ছাড়াও এই অধিবেশনে কার্যপ্রণালী-বিধির ৭১ বিধিতে ৪৬ টি নোটিশ পাওয়া যায়। এ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর উত্তরদানের জন্য সর্বমোট ৮৪ টি প্রশ্ন পাওয়া যায়। তার মধ্যে তিনি ২৮ টি প্রশ্নের উত্তর প্রদান করেন। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীদের উত্তরদানের জন্য মোট ১৬৮৯ টি প্রশ্ন পাওয়া যায়। এর মধ্যে ৮২০ টি প্রশ্ন সম্পর্কে তারা উত্তর প্রদান করেছেন।

সমাপনি ভাষণে স্পিকার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশ ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ দেশে উন্নীত হবে। ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ তথা অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জনের মাধ্যমে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করাই আমাদের মূল লক্ষ্য।

তিনি আইন প্রণয়ন প্রক্রিয়াসহ সংসদীয় অন্যান্য কার্যক্রমে সংসদ সদস্যদের সহনশীল আচরণ ও গঠনমূলক আলোচনা তাকে মুগ্ধ করেছে উল্লেখ করে ‘রাষ্ট্র পরিচালনায় সঠিক দিক নির্দেশনা, গতিশীল নেতৃত্ব এবং বাংলাদেশের জন্য গৌরব ও সম্মান বয়ে আনায় সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সশ্রদ্ধ অভিনন্দন জানান।’

তিনি সংসদ পরিচালনায় সহযোগিতা করায় বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। এছাড়া সংসদ উপনেতা, মন্ত্রীসভার সদস্যবৃন্দ, চিফ হুইপ ও হুইপবৃন্দ এবং সকল সংসদ-সদস্যের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

এছাড়া তিনি ডেপুটি স্পিকার ও সভাপতিমন্ডলীর সদস্যবৃন্দ, সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দ, সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ এবং দপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারী জাতীয় দৈনিক, বিভিন্ন সংবাদসংস্থা, বাংলাদেশ বেতার, সংসদ বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেসরকারি টিভি চ্যানেলসহ দেশের সব গণমাধ্যমের সাংবাদিক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দকে ধন্যবাদ জানান।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে