‘একাত্তরের জননী’ বীরাঙ্গনা রমা চৌধুরীর মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০১৮ সালের আজকের এই দিনে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

রমা চৌধুরী ১৯৪১ সালের ১৪ অক্টোবর বোয়ালখালীর পোপাদিয়া ইউনিয়নে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় স্নাতকোত্তর করার পর শিক্ষকতা দিয়ে কর্মজীবন শুরু হয় তার। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় তিন সন্তানের মা রমা চৌধুরী পাকিস্তানি বাহিনীর নির্যাতনের শিকার হন। তার বাড়িঘরও পুড়িয়ে দেওয়া হয়। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর রমা চৌধুরী লেখালেখিকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করেন। নিজের লেখা বই বিক্রি করে চলত সংসার। রমা চৌধুরী ১৮টি বই প্রকাশ করেছেন। তিনি মরণোত্তর ‘বেগম রোকেয়া পদক’সহ অনেক সম্মাননা পেয়েছেন।

চট্টগ্রাম নগরের ঐতিহ্যবাহী চেরাগী পাহাড়ের ৪০৮ নম্বর কক্ষে ৩০ বছর কাটিয়েছেন। তার সঙ্গে থাকত চারটি বিড়ালও। ছোট এই কক্ষে এখনও সবকিছুই সেভাবে পড়ে আছে যেভাবে তিনি রেখে গিয়েছিলেন। সেখানকার ছোট কক্ষটিই ছিল তার লেখালেখি ও থাকার স্থান।

সাধারণ জীবন-যাপন করা এ বীরাঙ্গনার সঙ্গে ২০১৩ সালে দেখা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সাক্ষাতের সময় রমা চৌধুরীকে ‘কি চান’ জিজ্ঞেস করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু তিনি কিছুই চাননি।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে