যুদ্ধবিরতির ঘোষণার পরেও পাল্টা-পাল্টি হামলা চালিয়ে যাচ্ছে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান। সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া এ যুদ্ধে উভয় দেশের অবকাঠামো ধ্বংসসহ প্রাণহানি ঘটেছে কয়েকশ মানুষের। তবে আজেরি ভূখণ্ড দখলমুক্তকরণে সাতটি আর্মেনিয় ট্যাংক ধ্বংস করে অনন্য বীরত্ব প্রদর্শন করেছেন হুনার মাম্মাদোভ নামে এক আজেরি সেনা, এসেছেন আলোচনায়।

মঙ্গলবার (১৩ অক্টোবর) আজারবাইজানের সংবাদমাধ্যম আজভিশনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়- হুনার মাম্মাদোভ নামে ওই যোদ্ধা তার অপর দুই সহযোগী এলভিন মাদাতোভ ও রাফাত আসাদুল্লায়েভের সহায়তায় শত্রুপক্ষের সাতটি ট্যাংক, একটি পিডিএম, একটি সাঁজোয়া যান এবং দুটি পর্যবেক্ষণ চৌকি গুড়িয়ে দেন। আর্মেনিয়ার হাত থেকে আজারবাইজানের ভূখণ্ড দখলমুক্ত করাকালে শত্রুপক্ষের এসব সামরিক সরঞ্জাম ধ্বংস করা হয় বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

ওই বীর যোদ্ধাসহ তিনজনের ছবি দেশটির সংবাদমাধ্যমে গুরুত্ব সহকারে প্রকাশ করা হয়। ক্যাপশনে লেখা হয়, আমাদের সেনাদের নিয়ে গর্ব করছি, যারা শত্রুদের উপযুক্ত জবাব দিয়েছে।

২৭ সেপ্টেম্বর থেকে বিরোধপূর্ণ নাগোরনো-কারাবাখ নিয়ে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান নতুন করে যুদ্ধে জড়ায়। পরবর্তীতে ১০ অক্টোবর রাশিয়ার মধ্যাস্থতায় আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে ম্যারাথন আলোচনা হয়।

এতে উভয় পক্ষ মানবিক কারণে সাময়িক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়। এ যুদ্ধ বিরতিতে দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধবন্দিসহ অন্যান্য বন্দি বিনিময় ও মৃতদেহ হস্তান্তরের বিষয়ে উভয় দেশ সম্মত হয়।

শনিবার থেকে এ যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু যুদ্ধবিরতির কয়েক মিনিটের মধ্যেই আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান পরস্পরকে সাময়িক যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘেনের জন্য অভিযুক্ত করে।

প্রসঙ্গত, কারাবাখ অঞ্চলটি আন্তর্জাতিকভাবে আজারবাইজানের ভূখণ্ড হিসেবে স্বীকৃত। তবে ৯০’র দশক থেকে ওই অঞ্চলটি নিয়ন্ত্রণ করছে জাতিগত আর্মেনীয়রা। ওই দশকেই আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের সঙ্গে যুদ্ধে ৩০ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে