জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে ওয়েস্টার্ন ইকোনমিক করিডোর এবং রিজিওনাল এনহেন্সমেন্ট প্রোগ্রাম (উইকেয়ার) ফেজ ১ এর অধীনে ৪,১৮৭ কোটি ৭০ লাখ টাকা ব্যয়ে ঝিনাইদহ-যশোর মহাসড়ক (এন ৭) উন্নয়ন প্রকল্পে উভয় পাশে সার্ভিস লেনসহ ৬ লেনের ৪৮.৫০ কিলোমিটার মহাসড়ক উন্নয়নসহ দুটি পৃথক প্রকল্প অনুমোদন করেছে।

বৈঠকে ১০ হাজার ৭০২ কোটি ২৩ লাখ টাকা ব্যয়সম্বলিত মোট সাতটি প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এরমধ্যে ৫টি নতুন এবং ২ টি সংশোধিত প্রকল্প রয়েছে।

একনেক সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে চলতি অর্থ বছরের (অর্থবছর ২০২১) ১৬ তম সভায় আজ এই অনুমোদন দেয়া হয়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর সরকারী বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি বৈঠকে যোগ দেন। মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী এবং সংশ্লিষ্ট সচিবগণ পৃথকভাবে শেরে বাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে বৈঠকে অংশ নেন।

বৈঠক শেষে পরিকল্পনা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আসাদুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, “ সভায় মোট ৭ টি প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এতে সার্বিক ব্যয় ধরা হয়েছে ১০ হাজার ৭০২ কোটি ২৩ লাখ টাকা। প্রকল্প ব্যয়ের ৬ হাজার ৪৫৯ কোটি ২৭ লাখ টাকা আসবে সরকারের তহবিল থেকে এবং ৪ হাজার ২৪২ কোটি ৯৬ লাখ আসবে প্রকল্প সহায়তা হিসেবে। ”

ফিজিক্যাল ইনফ্রাস্টটেকচার বিভাগের পরিকল্পনা কমিশন সদস্য মামুন আল রশিদ বলেন, ভোমরা স্থল বন্দর ও মংলা সমুদ্র বন্দর, সার্ক হাইওয়ে করিডোর,বিমসটেক রোড কড়িডোর এবং এসএএসইসি রোড করিডোর সহ দেশের উত্তর পশ্চিমাঞ্চলের উন্নয়নের লক্ষ্যে এ পরিকল্পনাগুলো নেয়া হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর বেধে দেয়া ২ বছরের সময়সীমা অনুযায়ি সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের অধীনে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর নাগাদ সংশোধিত মহাসড়ক উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্পন্ন হবে। এতে মোট প্রকল্প ব্যয় ৪ হাজার ১৮৭ কোটি ৭০ লাখ টাকা। এরমধ্যে বিশ্বব্যাংক ২ হাজার ৭০৫ কোটি ৬৫ লাখ টাকা এবং বাকি ১ হাজার ৪৮২ কোটি ৪ লাখ টাকা সরকারি তহবিল থেকে সরবরাহ করা হবে।

প্রকল্পের মূল কাজের মধ্যে রয়েছে প্রায় ১৫১.০০৪ হেক্টর ভূমি অধিগ্রহন, ৪৮.৫০ কিলোমিটার ফুটপাথ নির্মান, ৬৩.৪২ লাখ কিউবিক মাটি ভরাট, ১,৬৪৭.২৯ মিটার একটি ফ্লাইওভার নির্মান, ১৯৮.১২ মিটার দৈর্ঘেও ৪ টি ব্রিজ, ৫৫টি কালভার্ট, পথচারিদের জন্য ১২টি ওভারব্রিজ এবং একটি আন্ডারপাস নির্মাণ।

একনেক বৈঠকে উইকেয়ার ফেজ ১ এর আওতায় রুরাল কানেকটিভিটি, মার্কেট এবং সহায়ক অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পে (আরসিএমএলঅআই আইপি) ২,১৮০.৯৮ কোটি টাকা অনুমোদন দিয়েছে। এরমধ্যে বিশ্বব্যাংক থেকে ঋণ সহায়তা আসবে ১,৫৩৭.৩০ কোটি টাকা।

স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীনে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ ২০২৫ সালের জুন নাগাদ যশোর, মাগুরা, চুয়াডাঙ্গা ও ঝিনাইদহ জেলার ১৮টি উপজেলায় এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হবে।

প্রধান প্রকল্প কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে ৬১১ কিলোমিটার সড়ক উন্নয়ন, ১২০ টি বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ইউনিট স্থাপন এবং ৪ জেলার আর্থসামাজিক উন্নয়নে কৃষিপণ্য সরবরাহ ও বাজারজাতকরণ নিশ্চিত করতে উপজেলা, ইউনিয়ন ও গ্রামীন ৬১১ কিলোমিটার সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ।

– বাসস

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে