সোহেল রানা,কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রামের উলিপুরে পাওনা টাকা আদায় কেন্দ্র করে মারপিট ও কুপিয়ে ৫জনকে আহত করার অভিযোগ উঠেছে।ঘটনাটি ঘটেছে উলিপুর পৌরশহরের কাচারী পাড়া গ্রামে।ঘটনার পর অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত আব্দুল খালেক(৪৫), মল্লিকা বেগম(৪০) ও মেহেদী হাসান(১৮) নামের তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাতে নারিকেলবাড়ী কাজিরচক এলাকার থাই মিস্ত্রী জাহিদুল ইসলাম(৩৭) উলিপুর বাজার হইতে বাড়ী যাওয়ার পথে পৌরসভার কাচারী পাড়ায় পৌঁছেলে পাওনা টাকা আদায় কেন্দ্র করে অভিযুক্ত আব্দুল খালেক(৪৫) ও তার ছেলে মেহেদী হাসান(১৮),মল্লিকা বেগম(৪০) ও নুরুজ্জামালসহ অভিযুক্তরা পথরোধ করিয়া মারধরে রক্তাক্ত করে বাড়ীতে আটক করিয়া রাখে।খবর পেয়ে জাহিদুলকে উদ্ধার করতে তার চাচাতো ভাই মমিনুল ইসলাম(২৮), এরশাদুল হক(৩০),জেহাদুল ইসলাম(২৬) ও জিয়ারুল ইসলাম(২৮) ঘটনাস্থলে পৌঁছেলে আসামী আব্দুল খালেক,মেহেদী হাসান,মল্লিকা বেগম ও নুরুজ্জামাল সহ অন্যান্যা আসামীরা তাদেরকে বেধড়ক মারধর করিয়া রক্তাক্ত জখম করে।এসময় এরশাদুলকে হত্যার উদ্দ্যেশে আসামী নুরুজ্জামাল ধারালো বটি দিয়ে মাথায় ও বামহাতে কুপিয়ে জখম করে।এতে এরশাদুলের বাম হাতের কনুইয়ের নিচে লাগিয়া এক তৃতীয়াংশ কেটে অস্থিচ্যুত হওয়ার উপক্রম হয়।পরে স্থানীয়রা ৯৯৯এ ফোন করলে পুলিশ এসে তাদের উদ্ধার করে। আহত অবস্থায় মমিনুল ইসলাম,জাহিদুল ইসলাম,এরশাদুল হক,জেহাদুল ইসলাম ও জিয়ারুল ইসলামকে চিকিৎসার জন্য উলিপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। আহতদের মধ্যে মমিনুল ও এরশাদুলের অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করেন।এঘটনায় শুক্রবার রাতে গুরুত্বর আহত মমিনুল ইসলামের পিতা জয়নাল আবেদীন বাদী হয়ে আব্দুল খালেকসহ ৭জন নামীয় ও অজ্ঞাতনামা ৪/৫জনের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই হারিছুর রহমান জানান, এঘটনায় অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত তিনজনকে আটক করা হয়েছে।পুলিশী পাহারায় প্রধান আসামী আব্দুল খালেক উলিপুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে।
এব্যাপারে থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) ইমতিয়াজ কবির জানান, আটক তিন আসামীর মধ্যে দু’জনকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।অপর আসামী আব্দুল খালেক পুলিশী পাহারায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।বাকী আসামীদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।