Dhaka ০৩:৩৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৮ মে ২০২৫, ২৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

উত্তাল বেলারুশ, লাখো মানুষ রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ প্রদর্শন

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৩:৪০:২২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ অগাস্ট ২০২০
  • ৯৫ Time View

বেলারুশে বিতর্কিত নির্বাচনের পর বিজয়ী প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কো’র বিরুদ্ধে বিক্ষোভ আরও জোরদার হচ্ছে। বিপুল ব্যবধানে জয়ী হবার তাঁর দাবিকে প্রত্যাখ্যান করে লাখ লাখ প্রতিবাদকারী বিক্ষোভে অংশ নেন। তাঁর বিরুদ্ধে ব্যাপক ভোট জালিয়াতি ও নিরস্ত্র বিক্ষোভকারীদের ওপর দমন অভিযানের অভিযোগ উঠেছে। ভয়েস অব আমেরিকা’র। 

দেশজুড়ে হাজার হাজার মহিলা ও চিকিৎসা কর্মীরা পথের পাশে হাতে হাত ধরে সহিংসতা বন্ধের দাবি জানান। প্রধান প্রধান শিল্প কারখানা যতদিন না লুকাশেঙ্কো পদত্যাগ করছেন ততদিন বন্ধ রাখা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছে।

উল্লেখ্য, বেলারুশের আগের বিরোধী দলগুলো শেষ হয়ে গেছে। যারা প্রেসিডেন্ট লুকাশেংকোর বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিল বা নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়েছিল, তারা হয় জেলখানায়, নয়তো দেশ থেকে পালিয়ে প্রবাসে নির্বাসিত জীবন কাটাচ্ছে।

বেলারুশে এর আগেও মানুষের আন্দোলন দমন করা হয়েছে। তবে ২০০৬ এবং ২০১০ সালের সেসব বিক্ষোভ তুলনামূলকভাবে ছোট ছিল। কিন্তু এবার যে রকম নির্দয়ভাবে বিক্ষোভ দমন করা হচ্ছে, তা আঁতকে উঠার মতো। এমনটি এর আগে দেখা যায়নি। রাস্তায় যারা বিক্ষোভকারী এবং পথচারীদের ওপর হামলা করছে, তাদের পরণে কালো পোশাক, মুখে মুখোশ। তাদের পোশাকে কোন ব্যাজ নেই, তারা কোন পরিচিত বাহিনীর ইউনিফর্ম পরেনি। যদিও মানুষ এখনও এসবের পরোয়া করছে না, তারপরও ভবিষ্যৎ নিয়ে তারা উদ্বিগ্ন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

উত্তাল বেলারুশ, লাখো মানুষ রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ প্রদর্শন

Update Time : ০৩:৪০:২২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ অগাস্ট ২০২০

বেলারুশে বিতর্কিত নির্বাচনের পর বিজয়ী প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কো’র বিরুদ্ধে বিক্ষোভ আরও জোরদার হচ্ছে। বিপুল ব্যবধানে জয়ী হবার তাঁর দাবিকে প্রত্যাখ্যান করে লাখ লাখ প্রতিবাদকারী বিক্ষোভে অংশ নেন। তাঁর বিরুদ্ধে ব্যাপক ভোট জালিয়াতি ও নিরস্ত্র বিক্ষোভকারীদের ওপর দমন অভিযানের অভিযোগ উঠেছে। ভয়েস অব আমেরিকা’র। 

দেশজুড়ে হাজার হাজার মহিলা ও চিকিৎসা কর্মীরা পথের পাশে হাতে হাত ধরে সহিংসতা বন্ধের দাবি জানান। প্রধান প্রধান শিল্প কারখানা যতদিন না লুকাশেঙ্কো পদত্যাগ করছেন ততদিন বন্ধ রাখা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছে।

উল্লেখ্য, বেলারুশের আগের বিরোধী দলগুলো শেষ হয়ে গেছে। যারা প্রেসিডেন্ট লুকাশেংকোর বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিল বা নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়েছিল, তারা হয় জেলখানায়, নয়তো দেশ থেকে পালিয়ে প্রবাসে নির্বাসিত জীবন কাটাচ্ছে।

বেলারুশে এর আগেও মানুষের আন্দোলন দমন করা হয়েছে। তবে ২০০৬ এবং ২০১০ সালের সেসব বিক্ষোভ তুলনামূলকভাবে ছোট ছিল। কিন্তু এবার যে রকম নির্দয়ভাবে বিক্ষোভ দমন করা হচ্ছে, তা আঁতকে উঠার মতো। এমনটি এর আগে দেখা যায়নি। রাস্তায় যারা বিক্ষোভকারী এবং পথচারীদের ওপর হামলা করছে, তাদের পরণে কালো পোশাক, মুখে মুখোশ। তাদের পোশাকে কোন ব্যাজ নেই, তারা কোন পরিচিত বাহিনীর ইউনিফর্ম পরেনি। যদিও মানুষ এখনও এসবের পরোয়া করছে না, তারপরও ভবিষ্যৎ নিয়ে তারা উদ্বিগ্ন।