Dhaka ০৭:৪৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

উইন্ডিজকে হারিয়ে প্রথম জয় দক্ষিণ আফ্রিকার

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৫:৫৪:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ অক্টোবর ২০২১
  • ২৯ Time View

ক্রীড়া ডেস্ক :

চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে হারা দু’দলই মাঠে নেমেছিলে প্রথম জয়ের খোঁজে।

তবে উইন্ডিজের অপেক্ষার প্রহরটা আরও বাড়িয়ে দিয়ে চলতি বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম জয়টা তুলে নিল দক্ষিণ আফ্রিকা।

মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) বিকাল ৪টায় দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত সুপার টুয়েলভে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে ৮ উইকেটের বড় জয়ই পেয়েছে প্রোটিয়ারা।

গুরুত্বপূর্ণ এ ম্যাচে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রোটিয়া বোলিং তোপে ১৪৩ রানের বেশি তুলতে পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। জবাবে শুরুতেই ধাক্কা খেলেও শেষ পর্যন্ত ২টি উইকেট হারিয়েই অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছে যায় টেম্বা বাভুমার দল, তাও ১০ বল হাতে রেখেই।

দলটির পক্ষে সর্বোচ্চ ৫১ রানের তাণ্ডুবে ইনিংস খেলে জয়ে তুলে নিয়ে তবেই মাঠ ছাড়েন চার নম্বরে নামা এইডেন মার্করাম। তাঁর মাত্র ২৬ বলের এই অপরাজিত ইনিংসে ছিল চারটি ছয়ের সঙ্গে মাত্র ২টি চারের মার। ২৫ বলে ফিফটি পূরণ করা এই মারকুটের ব্যাটেই আসে জয় সূচক রানটিও।

এছাড়া ৫১ বলে ৪৩ রানের কার্যকরী ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন আরেক ব্যাটার রাসি ফন ডার ডুসেন। এর আগে ৩০ বলে ৩৯ রানের আরেকটি ঝোড়ো ইনিংস খেলে আউট হন ওপেনার রিজা হেনড্রিকস। প্রথম জয়ের ম্যাচে টপ অর্ডারের এই তিন ব্যাটার রান পেলেও রাসেলের দুর্দান্ত থ্রোতে এদিন মাত্র ২ রানে ফিরতে হয় অধিনায়ক ওপেনার টেম্বা বাভুমাকে।

তবুও ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে এমন দুর্দান্ত জয়ে দারুণ খুশি প্রোটিয়া অধিনায়ক। সবাই সবার কাজটা ঠিকমতোই পালন করেছে উল্লেখ করে জয়ের এই ধারা অব্যাহত রেখে পরের ম্যাচেও সাফল্য নিয়ে মাঠ ছাড়তে চান বাভুমা।

এর আগে টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম প্রথম তিন ওভারে মাত্র ৬টি রান সংগ্রহ করলেও চতুর্থ ওভার থেকেই চার-ছক্কার ফুলঝুরি ছুটিয়ে ১০ ওভারেই ৬৫ রান তুলে ফেলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

যার মধ্যে একাই ৩২ বলে ফিফটি পূরণ করেন ক্যারিবীয় মারকুটে ওপেনার এভিন লুইস। তবে আর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি এই ঝোড়ো ব্যাটার। একাদশ ওভারেই কেশব মহারাজের বলে ডিপ মিড উইকেটে রাবাদার হাতে ধরা পড়ার আগে ৩৫ বলে ছয়টা বিশাল ছক্কার সঙ্গে তিনটি চারের মারে ৫৬ রান আসে লুইসের ব্যাট থেকে।

লুইস ছাড়া দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৬ রান আসে অধিনায়ক পোলার্ডের ব্যাট থেকে। এছাড়া গেইলসহ অন্যরা বলার মতো রান করতে ব্যর্থ হলে নির্ধারিত ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে মাঝারি ওই স্কোর গড়তে সমর্থ হয়ে ক্যারিবীয়রা।

বিশেষ করে শেষ তিন ওভারে মাত্র ২১ রান দিয়ে পাঁচটি উইকেট তুলে নিয়ে উইন্ডিজকে বেঁধে রাখে প্রোটিয়া বোলার-ফিল্ডাররা। দলটির পক্ষে দুই ওভার হাত ঘুরিয়ে ১৭ রান দিয়ে ৩টি উইকেট তুলে নেন হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগানো ডোয়াইন প্রিটোরিয়াস।

এছাড়া ২৪ রানে ২টি উইকেট তুলে নেন কেশব মহারাজ। আর একটি করে উইকেট পান কাগিসো রাবাদা ও অ্যানরিক নরকিয়া। তবে নিজের কোটায় মাত্র ১৪ রান দেন নরকিয়া। যে কারণে ম্যাচের সেরা খেলোয়াড়ও হন এই পেসার।

এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকা নিজেদের প্রথম ম্যাচে ৫ উইকেটে হার মানে অস্ট্রেলিয়ার কাছে। আর ওয়েস্ট ইন্ডিজকে তো রীতিমতো উড়িয়ে দেয় ইংল্যান্ড। ৫৫ রানে অলআউট হয়ে লজ্জার মুখে পড়েন গেইল-পোলার্ডরা।

এই দুই দলের মুখোমুখি দেখায় এই নিয়ে আরও এগিয়ে গেল দক্ষিণ আফ্রিকা। উইন্ডিজের ৬ জয়ের বিপরীতে প্রোটিয়াদের জয় এখন ১০ ম্যাচে। তবে পরের ম্যাচেই ঘুরে দাঁড়াতে চায় ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

Popular Post

উইন্ডিজকে হারিয়ে প্রথম জয় দক্ষিণ আফ্রিকার

Update Time : ০৫:৫৪:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ অক্টোবর ২০২১

ক্রীড়া ডেস্ক :

চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে হারা দু’দলই মাঠে নেমেছিলে প্রথম জয়ের খোঁজে।

তবে উইন্ডিজের অপেক্ষার প্রহরটা আরও বাড়িয়ে দিয়ে চলতি বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম জয়টা তুলে নিল দক্ষিণ আফ্রিকা।

মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) বিকাল ৪টায় দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত সুপার টুয়েলভে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে ৮ উইকেটের বড় জয়ই পেয়েছে প্রোটিয়ারা।

গুরুত্বপূর্ণ এ ম্যাচে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রোটিয়া বোলিং তোপে ১৪৩ রানের বেশি তুলতে পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। জবাবে শুরুতেই ধাক্কা খেলেও শেষ পর্যন্ত ২টি উইকেট হারিয়েই অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছে যায় টেম্বা বাভুমার দল, তাও ১০ বল হাতে রেখেই।

দলটির পক্ষে সর্বোচ্চ ৫১ রানের তাণ্ডুবে ইনিংস খেলে জয়ে তুলে নিয়ে তবেই মাঠ ছাড়েন চার নম্বরে নামা এইডেন মার্করাম। তাঁর মাত্র ২৬ বলের এই অপরাজিত ইনিংসে ছিল চারটি ছয়ের সঙ্গে মাত্র ২টি চারের মার। ২৫ বলে ফিফটি পূরণ করা এই মারকুটের ব্যাটেই আসে জয় সূচক রানটিও।

এছাড়া ৫১ বলে ৪৩ রানের কার্যকরী ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন আরেক ব্যাটার রাসি ফন ডার ডুসেন। এর আগে ৩০ বলে ৩৯ রানের আরেকটি ঝোড়ো ইনিংস খেলে আউট হন ওপেনার রিজা হেনড্রিকস। প্রথম জয়ের ম্যাচে টপ অর্ডারের এই তিন ব্যাটার রান পেলেও রাসেলের দুর্দান্ত থ্রোতে এদিন মাত্র ২ রানে ফিরতে হয় অধিনায়ক ওপেনার টেম্বা বাভুমাকে।

তবুও ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে এমন দুর্দান্ত জয়ে দারুণ খুশি প্রোটিয়া অধিনায়ক। সবাই সবার কাজটা ঠিকমতোই পালন করেছে উল্লেখ করে জয়ের এই ধারা অব্যাহত রেখে পরের ম্যাচেও সাফল্য নিয়ে মাঠ ছাড়তে চান বাভুমা।

এর আগে টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম প্রথম তিন ওভারে মাত্র ৬টি রান সংগ্রহ করলেও চতুর্থ ওভার থেকেই চার-ছক্কার ফুলঝুরি ছুটিয়ে ১০ ওভারেই ৬৫ রান তুলে ফেলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

যার মধ্যে একাই ৩২ বলে ফিফটি পূরণ করেন ক্যারিবীয় মারকুটে ওপেনার এভিন লুইস। তবে আর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি এই ঝোড়ো ব্যাটার। একাদশ ওভারেই কেশব মহারাজের বলে ডিপ মিড উইকেটে রাবাদার হাতে ধরা পড়ার আগে ৩৫ বলে ছয়টা বিশাল ছক্কার সঙ্গে তিনটি চারের মারে ৫৬ রান আসে লুইসের ব্যাট থেকে।

লুইস ছাড়া দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৬ রান আসে অধিনায়ক পোলার্ডের ব্যাট থেকে। এছাড়া গেইলসহ অন্যরা বলার মতো রান করতে ব্যর্থ হলে নির্ধারিত ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে মাঝারি ওই স্কোর গড়তে সমর্থ হয়ে ক্যারিবীয়রা।

বিশেষ করে শেষ তিন ওভারে মাত্র ২১ রান দিয়ে পাঁচটি উইকেট তুলে নিয়ে উইন্ডিজকে বেঁধে রাখে প্রোটিয়া বোলার-ফিল্ডাররা। দলটির পক্ষে দুই ওভার হাত ঘুরিয়ে ১৭ রান দিয়ে ৩টি উইকেট তুলে নেন হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগানো ডোয়াইন প্রিটোরিয়াস।

এছাড়া ২৪ রানে ২টি উইকেট তুলে নেন কেশব মহারাজ। আর একটি করে উইকেট পান কাগিসো রাবাদা ও অ্যানরিক নরকিয়া। তবে নিজের কোটায় মাত্র ১৪ রান দেন নরকিয়া। যে কারণে ম্যাচের সেরা খেলোয়াড়ও হন এই পেসার।

এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকা নিজেদের প্রথম ম্যাচে ৫ উইকেটে হার মানে অস্ট্রেলিয়ার কাছে। আর ওয়েস্ট ইন্ডিজকে তো রীতিমতো উড়িয়ে দেয় ইংল্যান্ড। ৫৫ রানে অলআউট হয়ে লজ্জার মুখে পড়েন গেইল-পোলার্ডরা।

এই দুই দলের মুখোমুখি দেখায় এই নিয়ে আরও এগিয়ে গেল দক্ষিণ আফ্রিকা। উইন্ডিজের ৬ জয়ের বিপরীতে প্রোটিয়াদের জয় এখন ১০ ম্যাচে। তবে পরের ম্যাচেই ঘুরে দাঁড়াতে চায় ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা।