ঈদকে সামনে রেখে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের নির্দেশ দিয়েছেন যে- জনস্বার্থে দেশের বিভিন্ন স্থানে নির্মাণাধীন ফ্লাইওভার ও আন্ডারপাসসহ চলমান কাজ বন্ধ থাকবে। ঈদের আগের ৭ দিন, ঈদের দিন ও পরের ৭ দিন অর্থাৎ মোট ১৫ দিন এ কাজ বন্ধ থাকবে।
দেশের সড়ক-মহাসড়কের পরিস্থিতি নিয়ে প্রকৌশলীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তার বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে ওবায়দুল কাদের এ নির্দেশ দেন।
মন্ত্রী বলেন, অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে সড়ক-মহাসড়ক এখন ভালো পর্যায়ে আছে, তবে এক্ষেত্রে কিছুটা ঝুঁকি বাড়িয়েছে অবিরাম বৃষ্টি।
তবে দেশের বিভিন্ন এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণ সেতু থাকলে তার নজরদারি করতে এবং প্রয়োজনে বিকল্প রাস্তা ঠিক করে রাখারও নির্দেশ দেন তিনি।
সেতুমন্ত্রী বলেন, চলমান উন্নয়ন কার্যক্রম এগিয়ে নেয়ার পাশাপাশি মানুষের ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে অতীতের মতো এবারও সবাইকে সচেষ্ট থাকতে হবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, সরকার ইতিমধ্যে ঈদে কর্মস্থল ত্যাগ না করার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন। তাই সবাইকে নিজ নিজ কর্মস্থলে অবস্থান করার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রত্যেক জোন, সার্কেল ও বিভাগকে সক্রিয় থাকতে হবে যাতে সড়ক-মহাসড়কের উপর বা পাশে পশুরহাট না বসে।
তিনি এ বিষয়ে জেলা ও পুলিশ প্রশাসন এবং স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে আগেই সমন্বয় করার নির্দেশ দেন।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ঈদে গ্রামমুখী মানুষকে সতর্ক থাকার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, সামাজিক দুরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে যাতায়াত করতে হবে।
নবীনগর, বাইপাইল, ইপিজেড, চন্দ্রা, কালিয়াকৈর, গাজীপুর, ভুলতা, কাচপুর এলাকায় অসংখ্য গার্মেন্টস থাকায় ঘরমুখো মানুষের প্রচন্ড চাপ তৈরি হয়। তাই এ চাপ সঠিকভাবে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা ও বিজিএমইএর সঙ্গে সমন্বয় করতে সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের প্রকৌশলীদের নির্দেশ দেন সেতুমন্ত্রী।
ওবায়দুল কাদের টঙ্গী-গাজীপুর মহাসড়কের কাজ চলমান থাকায় প্রয়োজনে গাজীপুরের মেয়র, পুলিশ কমিশনারসহ সংশ্লিষ্টদের নিয়ে বিশেষ নজর দেয়ার অনুরোধ জানান।
বৈঠকে সড়ক ও মহাসড়ক অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী কাজী শাহরিয়ার হোসেন ও অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. সবুজ উদ্দিন খানসহ অন্যান্য উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।