ডঃসুবীর মণ্ডল, বাঁকুড়া, জেলা প্রতিনিধি:

ইয়াসের মারণ ছোবলে দিশাহারা সুন্দরবনের হিঙ্গলগঞ্জ, হাসনাবাদ, সাহেবখালি, যোগেশগঞ্জ,সন্দেশখালি, ধামাখালি, সাগরদ্বীপের বিস্তীর্ণ এলাকা।

দক্ষিণ ও উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার বসিরহাট মহকুমার বিস্তীর্ণ এলাকা। সবচেয়ে  ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কুমিরমারি, মোল্লাখালি, গোসাবা, নামখানা, সাগর, কুলপি, কাকদ্বীপ, পূর্ব মেদিনীপুরের দীঘা, কাঁথি, রামনগর, নন্দীগ্রাম। আজ বড় অচেনা দীঘা! চারদিক জলমগ্ন! ওল্ডদীঘাতে সৈকতাবাসের সামনের রাস্তা নদীর রূপ নিয়েছে। গাড়িগুলি যেন এক একটি নৌকা! এমন জলোচ্ছাস আগে কখনো হয়েছে কিনা মনে করতে পারছেনা দীঘার বাসিন্দারা! সাগরদ্বীপের কপিলমুুণির আশ্রম জলের তলায়। বকখালির  সমুদ্র সৈকতে শুধু  ধ্বংসের ছবি। কৃষি জমি  জলের তলায়। হাজার হাজার বিঘা মাছের ভেরি ডুুবে গেছে। এই মুহূর্তে খুব জরুরী পাণীয় জল ,খাদ্য  ,ঔষধ ও শিশুদের খাদ্য। মাথা গোঁজার একমাত্র উপায় পাকা স্কূল আর ফ্লাডসেন্টার।লক্ষ লক্ষ সাধারণ মানুষ গৃহহীন । নোনা জলে মিষ্টি জলের সমস্ত উৎস নষ্ট হয়ে গেছে। হাজার হাজার বিঘা জমিতে ব্যাপক ফসল  নষ্ট হয়ে গেছে। গবাদি  পশুদের অবস্থা শোচনীয়। বহু জায়গায় সেনাবাহিনী পৌঁছতে পারেনি। চেষ্টা চলছে জোর কদমে। সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন । ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বিপুল। গতবারের  আমফানের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা গুলো এবার আর ভয়াবহ  ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মাটির বাড়ি ধুলিসস্তায়  হয়ে গেছে। বহু জায়গায় গাছ পড়ে আছে। স্থানীয় প্রশাসন ও স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান এবং সেনাবাহিনী যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধার কাজে নেমে  পড়েছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে