আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
ইসরায়েলের একটি যুদ্ধজাহাজে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস। সেই সঙ্গে দেশটির একটি গ্যাস ফ্ল্যাটফর্মে সাবমেরিন ড্রোন দিয়ে হামলা করেছে তারা।
সোমবার (১৭ মে) এক বিবৃতিতে হামাসের সামরিক শাখা ইজ্জুদ্দীন আল কাসসাম বিগ্রেড এ হামলার দাবি করেছে বলে ইরানের প্রেস টিভি জানিয়েছে।
বলা হয়েছে, সোমবার বিকালে কাসসাম ব্রিগেডের সেনারা সাগরে ইসরাইলি যুদ্ধজাহাজ লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে। এছাড়া, কাসসাম ব্রিগেড ইহুদি উপশহর ‘হার্টসলিয়া’-তে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। এ হামলায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি। তবে এ বিষয়ে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে এখনো কিছু বলা হয়নি।
এদিকে, মনুষ্যবিহীন সাবমেরিন দিয়ে সমুদ্রে ভাসমান ইসরায়েলি একটি গ্যাস প্লাটফর্মে হামলা চালিয়েছে হামাস। ৫০ কেজি বিস্ফোরক বহনে সক্ষম সাবমেরিনটির ভেতরে রয়েছে বিল্ট-ইন জিপিএস। গত রোববার এ হামলা চালানো হয় বলে জানিয়েছে সংগঠনটি।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর বরাত দিয়ে কুদস নিউজ নেটওয়ার্ক জানায়, দূর নিয়ন্ত্রিত মনুষ্যবিহীন সাবমেরিন তৈরিতে সক্ষম হয়েছে হামাস। স্থানীয়ভাবে ও নিজস্ব প্রযুক্তিতে বানানো হয়েছে এটি। মনুষ্যবিহীন এই সাবমেরিনটি বানিয়েছেন সম্প্রতি আঁততায়ীর হামলায় নিহত আল কাসসাম ব্রিগেডের শীর্ষ ইঞ্জিনিয়ার মুহাম্মদ ইজওয়ারি।
গত ১০ মে থেকে ফিলিস্তিনের গাজায় বর্বর হামলা চালাচ্ছে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী। একইসঙ্গে পশ্চিমতীরসহ বিভিন্ন এলাকায় ফিলিস্তিনি বিক্ষোভকারীদের গুলি করে হত্যা করছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় হামাস ইহুদিবাদি ইসরায়েল বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, ইসরায়েলি বিমান থেকে ফেলা শত শত বোমায় কমপক্ষে ১৯৭ ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে ৫৮টি শিশু ও ৩৪ জন নারী রয়েছেন। এসব হামলায় আহত হয়েছেন আরো সহস্রাধিক ফিলিস্তিনি, হতাহতদের অধিকাংশ বেসামরিক মানুষ।
অন্যদিকে, হামাসসহ অন্যান্য প্রতিরোধ আন্দোলনগুলো প্রতিশোধমূলক হাজার হাজার রকেট-ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ১০ ইসরায়েলি নিহত এবং কয়েক ডজন আহত হয়েছে।