সৌদি আরব ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক না করার ঘোষণা দিয়েছে। তবে একটি শর্ত মেনে নিলে তারা সম্পর্ক গড়তে আগ্রহী।দেশটি বলেছে, তারা সংযুক্ত আরব আমিরাতের মতো ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করবে না যতক্ষণ ইসরায়েল ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে কোন শান্তি চুক্তি না করছে। 

সৌদি পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আদেল আল জুবেইর বলেন, ‘এরকম একটি শান্তি চুক্তির পর সবকিছুই সম্ভব’।

এরপর বুধবার সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল বিন ফারহান আল সৌদ বলেছেন, দীর্ঘদিনের আরব পিস ইনিশিয়েটিভের ভিত্তিতে ইসরায়েলের সঙ্গে শান্তির ব্যাপারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ রয়েছে সৌদি আরব।

তিনি আরও বলেন, ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড দখল করার জন্য ইসরায়েলের যে কোনও ধরনের একতরফা ব্যবস্থা গ্রহণে দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধানকে হেয় করার শামিল বলে মনে করে সৌদি আরব।

গত সপ্তাহে সংযুক্ত আরব আমিরাত হঠাৎ করে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের ঘোষণা দেয়ার পর এই প্রথম এ বিষয়ে সৌদি প্রতিক্রিয়া জানা গেল। ঐ ঘ্টনার পর জল্পনা ছড়িয়ে পড়েছিল যে সৌদি আরবও একই পথ অনুসরণ করে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করতে পারে।

এদিকে ফিলিস্তিনিরা সংযুক্ত আরব আমিরাতের এই পদক্ষেপকে ‘বিশ্বাসঘাতকতা’ হিসেবে দেখছে। ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস এর নিন্দা করে বলেছেন, ‘এটি জেরুসালেম, আল-আকসা এবং ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা।’

একজন উর্ধ্বতন ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা হানান আশরাউই এই সমঝোতার নিন্দা করে বলেছেন, ‘ইসরায়েলের সঙ্গে তলে তলে যেসব গোপন লেনদেন আর সম্পর্ক স্বাভাবিক করার চেষ্টা চালাচ্ছিল, সেটা এবার প্রকাশ হয়ে গেল। তিনি আবুধাবির প্রিন্স মোহাম্মদকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘নিজের বন্ধুর দ্বারা কেউ যেন এভাবে বিক্রি হয়ে না যান‍।’ সূত্র: বিবিসি ও রয়টার্স

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে