তপন কান্তি মন্ডল, বিশেষ প্রতিনিধি ,দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা:
ইলিশ ধরে ফেরার পথে বুধবার রাতে বঙ্গোপসাগরে ট্রলার উল্টে মারা গেল ১০ জন মৎস্যজীবি।
জীবিত উদ্ধার হয়েছে দুজন শংকর শাসমল ও সন্ত্রাস মন্ডল। গত ১১ ই জুলাই ১২ জনের একটি দল মা হৈমবতী ট্রলার চেপে মাছ ধরতে যায় গভীর সমুদ্রে। কিন্তু ফেরার সময় বকখালি থেকে প্রায় ২২ নটিক্যাল মাইল দূরে রক্তেশ্বরীর কাছে একটি ডুবো চড়ায় ধাক্কা লেগে ট্রলারটি উল্টে যায়। রাতের অন্ধকারে অন্যান্য ট্রলারের মৎস্যজীবীরা দুজনকে উদ্ধার করতে পারলেও দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রলারটিকে তারা খোঁজ করতে পারেনি। পরদিন উপকূল রক্ষী বাহিনীর ড্রোন হোভারক্রাফট তল্লাশি চালিয়ে। ক্ষতিগ্রস্ত ট্রলারটিকে চিহ্নিত করে এবং তারপর স্পিড বোটের সাহায্যে বকখালির কাছে বালিয়াড়া উপকূলে নিয়ে আসা হয়। সেখানে ট্রলারের ভেতর থেকে সমস্ত জল পাম্প করে বের করে দেওয়ার পর ৯ জন মৎস্যজীবীর মৃতদেহ পাওয়া যায়। পরে কিছু দূরে আরও জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়। এরা সকলেই নামখানা ব্লকের শিবপুর, মহারাজগঞ্জ, পাতিবুনিয়া, হরিপুর, দেবিনিবাস প্রভৃতি গ্রামের বাসিন্দা। মৃত ব্যক্তিদের মধ্যে সৈকত দাস ও সৌরভ দাস সহোদর ভাই। অন্যরা হলো বুদ্ধদেব মাইতি, নারায়ন শ্যামল, পাঁচু গোপাল জানা ,রবিন কর ,অজিত বেরা ,গৌরহরি দাস, গৌতম পড়ুয়া ও অনাদি শাসমল। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান যে, হঠাৎ ঘুমে আচ্ছন্ন হয়ে মাঝি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলার কারণে এই দুর্ঘটনা হতে পারে।
এই মর্মান্তিক ঘটনার খবর পেয়ে পশ্চিমবঙ্গের মৎস্য মন্ত্রী অখিল গিরি,সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা, জেলা শাসক পি,উল্গানাথন প্রমুখ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা নামখানা ব্লকের চলে এসে মৃতদের ক্ষতিপূরণ দান করেন। পরিবার পিছু দু লক্ষ টাকার চেক এবং অন্ত্যেষ্টি ক্রিয়ার জন্য সমব্যাথী প্রকল্পের নগদ দুই হাজার টাকা করে দেওয়া হয়।