সিরিজে ১-০তে পিছিয়ে থাকায় শেষ ম্যাচে জয়ের বিকল্প ছিল না পাকিস্তানের সামনে। কিন্তু সাউদাম্পটন টেস্টে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ডের ৫৮৩ রানের জবাব দিতে নেমে ফলোঅনে পড়েছে সফরকারীরা। তাই জয়ের পরিবর্তে এখন ইনিংস হার এড়াতেই পঞ্চম দিনে ব্যাট করতে নামবে আজহার আলীর দল।
এদিকে, ইংলিশদের জাতীয় বীর বনে যাওয়া বেন স্টোকসের অনুপস্থিতিটা বেশ ভালোই কাজে লাগায় তরুণ জ্যাক ক্রাউলি। নিজের অভিষেক সেঞ্চুরিকে ২৬৭ রানে থামিয়ে প্রমাণ করেন, ইংলিশ টেস্ট দলের তিন নম্বর জায়গাটা এখন তারই। ২২ বছর বয়সী তরুণ এই টপ অর্ডারের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কম যাননি জস বাটলারও। সমালোচকদের বুড়ো আঙুল দেখানোর দিনে খেললেন ১৫২ রানের অনবদ্য ইনিংস।
মূলত এই দুজনের ব্যাটেই স্বাগতিকদের রান পাহাড়ে চড়তে দেখেই হয়তো মনে ভয় চাপে প্রতিপক্ষ শিবিরে। তার ওপর অভিজ্ঞ জেমস অ্যান্ডারসনের ত্রাস ছড়ানো বোলিংয়ের বিপক্ষে পাকিস্তান নিজেদের প্রথম ইনিংসে তারা গুটিয়ে গেছে ২৭৩ রানে। সবার আসা যাওয়ার মিছিলে অবশ্য বুক চিতিয়ে লড়াই করেন দলপতি আজহার আলী। অপরাজিত থাকেন ১৪১ রানে। তবুও ফলোঅন এড়াতে পারেনি সফরকারীরা।
অবশ্য এই ব্যর্থতার সূত্রপাত করেন উপরের সারির ব্যাটসম্যানরাই। দলীয় ৩০ রানের মাথায় ৪ জন ফেরেন প্যাভিলিয়নে। দীর্ঘদিন পর দলে ডাক পাওয়া ফাওয়াদ আলমকে নিয়ে চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন আজহার। কিন্তু ৭৫ রানে ৫ উইকেট হারালে কিছুটা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করে পাকিস্তান। ৫৩ রান করা মোহাম্মদ রিজওয়ান আউট হলে ভাঙে ১৩৮ রানের জুটি। এরপর দ্রুত উইকেট হারানোয় ইংল্যান্ডের চেয়ে ৩১০ রান পিছিয়ে থেকেই থামে সফরকারীদের ইনিংস।
পাকিস্তানকে অলআউট করার কাজে সামনে থেকেই নেতৃত্ব দেন ইংলিশ পেসার জিমি অ্যান্ডারসন। ক্যারিয়ারের ২৯ বারের মতো নেন ৫ উইকেট। ফিল্ডাররা ক্যাচ মিস না করলে হয়তো উইকেট সংখ্যাটা বাড়তে পারতো। আর মাত্র দুই জন ব্যাটসম্যানকে আউট করতে পারলেই ৬০০ উইকেটের ক্লাবে ঢুকে যাবেন এই সুইং তারকা।
পরে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে আগের ইনিংসের তুলনায় ভালোই শুরু করে পাকিস্তান। যদিও বৃষ্টি আর ভেজা আউট ফিল্ডের বাগড়ায় বোর্ডে ১০০ রান জমা করতে সমর্থ হয় সফরকারীরা, বিনিময়ে হারাতে হয়েছে দুটি উইকেট। অর্থাৎ ঠিক ২১০ রানে পিছিয়ে থেকে পঞ্চম দিনে আবারো ব্যাট করতে নামবে আজহার আলী-বাবর আজমরা। দুজনেই অপরাজিত আছেন যথাক্রমে ২৯ ও ৪ রানে।
সোজা কথায় বলতে গেলে, পঞ্চম দিনে ইনিংস হার এড়াতেই লড়তে হবে পাকিস্তানকে। অন্যদিকে, আর মাত্র একটি উইকেট তুলে নিলেই প্রথম ইংলিশ বোলার হিসেবে ৬০০ উইকেট নেয়ার গৌরব অর্জন করবেন অ্যান্ডারসন।