প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নতুন প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি তাঁর আহবান পুণর্ব্যক্ত করেছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ইতিহাস মুছে ফেলা যায় না। মুক্তিযুদ্ধের আসল ইতিহাস নতুন প্রজন্মের সামনে তুলে ধরতে হবে।’
তিনি সারাদেশে মুক্তিযুদ্ধাদের কবরস্থান সংরক্ষণ ও স্মৃতি যাদুঘর নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান জানিয়েছেন, যাতে প্রজন্মের পর প্রজন্ম যেন মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ সকালে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধাকল্যাণ ট্রাষ্টের ট্রাষ্টিবোর্ডের ৬৬ তম সভার সূচনা ভাষণে একথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে এবং ট্রাষ্টিবোর্ডের সদস্যরা রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তন থেকে ভার্চুয়ালি বৈঠকে অংশ গ্রহণ করেন।
প্রধানমন্ত্রীর উপপ্রেস সচিব কে.এম সাখাওয়াত মুন বৈঠকের পরে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বৈঠকে ট্রাষ্টিবোর্ডের সদস্যদের দু:স্থ এবং অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধা খুঁজে বের করে তাঁদের পাশে দাঁড়ানোর আহবান জানান। এ সময় তিনি মুজিববর্ষে দেশের সকল গৃহহীণকে ঘর নির্মাণ করে দেয়ায় তাঁর অঙ্গীকার পুণর্ব্যক্ত করে বলেন, সরকার প্রত্যেক দু:স্থ মুক্তিযোদ্ধা এবং তাঁদের পরিবারের সদস্যদেরকের আবাসনের জন্য ঘর নির্মাণ করে দেবে। আর একটি মানুষও ঠিকানাবিহীন থাকবে না।
ট্রাষ্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান শেখ হাসিনা বৈঠকে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের বিষয়েও খোঁজ খবর করার জন্য সদস্যদের আহবান জানান। যারা রাজকার, আলবদর আল শামস থেকে যুদ্ধের পরই মুক্তিযোদ্ধা সেজে গেছে। সাখাওয়াত মুন বলেন, তিনি ট্রাষ্টি বোর্ডের সভার নিয়মিত আয়োজনের পাশাপাশি বোর্ডের কাজেরও গতি বাড়ানোর আহবান জানান প্রধানমন্ত্রী।