ইতালিয়ান সুপারকাপ জিতে নিয়েছে জুভেন্টাস। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো ও আলভারো মোরাতার গোলে গতবারের চ্যাম্পিয়ন নাপোলিকে হারিয়ে ট্রফি পুনরুদ্ধার করলো সিরি আ চ্যাম্পিয়নরা।
এর মধ্য দিয়ে গতবারের ফাইনাল ম্যাচে নাপোলির কাছে পেনাল্টি শুট আউটে হারের শোধ নিলো জুভেন্টাস।
বুধবার (২০ জানুয়ারি) রাতে মাপেই স্টেডিয়ামে নাপোলিকে ২-০ গোলে হারিয়ে নবমবারের মতো এই শিরোপা জিতলো জুভেন্টাস। এই হারে ২০১৪ সালে সর্বশেষ ইতালিয়ান সুপার কাপ জেতা নাপোলির অপেক্ষা বাড়ল।
প্রথমার্ধে বলের নিয়ন্ত্রণে দুই দল ছিল প্রায় সমানে সমান। আক্রমণে এগিয়ে ছিল নাপোলি। সপ্তম মিনিটে রোনালদোর দূরপাল্লার শট এক ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে ক্রসবারের ওপর দিয়ে যায়। প্রথমার্ধের মাঝামাঝি সময়ে নাপোলি লিড নেওয়ার খুব কাছে ছিল। কিন্তু হার্ভিং লোজানোর বুলেট হেড চমৎকারভাবে রুখে দেন জুভ গোলরক্ষক উজচিয়েখ শেজনি। ফলে প্রথমার্ধ থাকে গোলশূন্য।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই গোল পেতে পারতো জুভেন্টাস। বাইলাইন থেকে ওয়েস্টন ম্যাককেনির ক্রসে ফেদেরিকো বের্নারদেস্কির টোকায় বল ছুটছিল জালের দিকে। গোললাইন থেকে ফেরান গোলরক্ষক দাভিদ অসপিনা।
তবে ম্যাচের এক ঘণ্টা পার করার পর জুভেন্টাস আকাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা পায়। ৬৪তম মিনিটে বার্নার্ডেসচির কর্নার থেকে গোলমুখের সামনে অরক্ষিত দাঁড়িয়ে থাকা রোনালদো বাঁ পায়ের শটে লক্ষ্যভেদ করেন।
এরপর সমতা ফেরানোর দারুণ সুযোগ পেয়েছিল নাপোলি। ৭৮তম মিনিটে ম্যাককেনির ফাউলে ড্রিস মের্টেন্স ডি-বক্সে পড়ে গেলে ভিএআর দেখে পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দিয়েছিলেন রেফারি। কিন্তু পোস্টের বাইরে দিয়ে যায় ইনসিনিয়ের স্পট কিক। জুভেন্টাসের বিপক্ষে সব প্রতিযোগিতা মিলে এ নিয়ে তৃতীয়বার পেনাল্টি মিস করেছেন ২৯ বছর বয়সী এই ইতালিয়ান ফরোয়ার্ড।
খেলার শেষ দিকে গোল পেতে মরিয়া হয়ে ওঠে নাপোলি। কিন্তু কাউন্টার অ্যাটাক থেকে গোল করে বসে জুভেন্টাস। হুয়ান কুয়াদ্রাদোর বাড়ানো বলে মোরাতা ব্যবধান দ্বিগুণ করেন। এর মধ্য নিশ্চিত হয় প্রথম ট্রফি জেতেন কোচ আন্দ্রে পিরলো।
ম্যাচ শেষে তিনি বলেছেন, ‘একটি ট্রফি জেতা অনেক আনন্দের। একজন খেলোয়াড় হিসেবে জেতার চেয়েও এটা অনেক বেশি সুন্দর। সিরি আ’য় রোববার ইন্টারের কাছে হারের পর এটা জেতা ছিল খুব গুরুত্বপূর্ণ।’
গত দুই মৌসুম ধরে সুপারকাপ ফাইনাল ম্যাচ হয়ে আসছে সৌদি আরবে। সাধারণত এই ম্যাচটি হয় বাইরের কোনও দেশে। কিন্তু করোনাভাইরাস মহামারির কারণে এবার এর ব্যতিক্রম হলো।