ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তৃতীয় ও শেষ টেস্ট ২৬৯ রানে জিতে নিয়েছে ইংল্যান্ড। ফলে তিন ম্যাচের সিরিজ ২-১ এ নিজেদের করল স্বাগতিকরা। অন্যদিকে এই হারে ৩২ বছরের অপেক্ষা ঘুচানোর সুযোগ হাতছাড়া হলো ওয়েস্ট ইন্ডিজের। কেননা ১৯৮৮ সালের পর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ জেতেনি দলটি।
মঙ্গলবার ম্যানচেস্টারের ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে ম্যাচের পঞ্চম ও শেষ দিনে ক্যারিবীয়দের দ্বিতীয় ইনিংস ১২৯ রানে গুটিয়ে দেয় ইংল্যান্ড। অতিথি দলের সামনে লক্ষ্য ছিল ৩৯৯ রানের। পুরো ম্যাচেই ছিল ব্রডের দাপট। শেষটায় বল হাতে আগুন ঝরিয়েছেন ক্রিস ওকস। দুই ডানহাতি পেসারের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ২৬৯ রানে হারিয়েছে ইংল্যান্ড।
প্রথম ইনিংসে ইংলিশদের ৩৬৯ রানের বিপরীতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ করেছিল ১৯৭ রান। পরে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ২ উইকেটে ২২৬ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করেছিল ইংল্যান্ড। ফলে ক্যারিবীয়দের ৩৯৯ রানের টার্গেট ছুঁড়ে দিয়েছিল ইংলিশরা।
ম্যাচে তৃতীয় দিন শেষেই জয় দেখছিল ইংল্যান্ড। তবে চতুর্থ দিন পুরোটা বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ায় অপেক্ষা বাড়ে ইংলিশদের। জয়ের জন্য ইংল্যান্ডের আজ দরকার ছিল ৮ উইকেট। কিন্তু পঞ্চম দিনেও বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকায় ইংল্যান্ডের সিরিজ জয় নিয়ে শঙ্কাই তৈরি হয়েছিল।
এদিন বৃষ্টি একাধিকবার বাগড়া দিয়েছে ম্যাচে। তবে ইংল্যান্ড ঠিকই জয় তুলে নিয়েছে। এদিন ৩১.১ ওভার খেলা হয়েছে। ২ উইকেটে ১০ রান নিয়ে দিন শুরু করেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। পুরো দিন কাটিয়ে দিতে পারলে উইজডেন ট্রফি ধরে রাখা হতো তাদের। কিন্তু কঠিন সেই কাজটা তারা করতে পারেনি। বরং ইংল্যান্ডের কাছে হার মেনেছে সহজেই।
সর্বোচ্চ ৩১ রান করেছেন শেই হোপ। জার্মেইন ব্ল্যাকউড ২৩ ও শামার ব্রুকস ২২ রান করেন। ইংল্যান্ডের পক্ষে ক্রিস উকস ৫ উইকেট নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে সবচেয়ে সফল বোলার। অন্যদিকে ব্রড নিয়েছেন ৪ উইকেট। এর ফলে ব্রড ৫০০ উইকেটের মাইলফলক ছুঁয়েছেন। তিনি প্রথম ইনিংসে নিয়েছিলেন ৬ উইকেট। এক ম্যাচে তৃতীয়বারের মতো ১০ উইকেট নেওয়ার নজির গড়লেন ব্রড।
সবশেষে ম্যাচসেরা হয়েছেন ব্রড এবং সিরিজ সেরা হয়েছেন যৌথভাবে রোস্টন রেজ ও ব্রড।
করোনা বিরতির পর এটিই ছিল প্রথম আন্তর্জাতিক সিরিজ। ‘বায়ো সিকিউর’ পরিবেশে হয়েছে সব ম্যাচ। সাউদাম্পটনে সিরিজের প্রথম টেস্ট জিতে ১-০ তে লিড নিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। পরে টানা দুই টেস্ট জিতে সিরিজ নিজেদের করল ইংলিশরা।