ক্রীড়া ডেস্ক :

চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হচ্ছে জয়ের ধারায় ফিরতে মরিয়া বাংলাদেশ।

বুধবার (২৭ অক্টোবর) আবু ধাবির শেখ জায়েদ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় বিকাল ৪টায় শুরু হওয়া ম্যাচটি সরাসরি দেখাবে গাজী টিভি ও টি-স্পোর্টস।

গত ১৫ বছরে টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে ১১৬টি ম্যাচ খেলে ফেললেও এই প্রথমবারের মতো এই ফরম্যাটে ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ। এ বছরের সেপ্টেম্বরে ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলার কথা থাকলেও দলটির খেলোয়াড়রা আইপিএল নিয়ে ব্যস্ত থাকায় সফরটি বাতিল করে ইংলিশ ক্রিকেট বোর্ড।

এদিকে, স্কটল্যান্ডের কাছে হেরে কষ্টেশিষ্টে বাছাই পর্ব টপকালেও হতাশা নিয়েই সুপার টুয়েলভ পর্ব শুরু করে বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কার কাছে ৫ উইকেটে ম্যাচ হারে টাইগাররা। অন্যদিকে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজকে উড়িয়ে দিয়ে বিশ্বকাপ যাত্রা শুরু করে ইংল্যান্ড।

যদিও অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ স্বীকার করেছেন, উইকেট বুঝতে ভুল করেছেন এবং দশম ওভারের পর সঠিক কাজ করতে পারেননি। ভুল থেকে শিক্ষা নেয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন তিনি। তবে বিশ্ব আসরে ইংলিশদের বিপক্ষে পারফরমেন্সে আত্মবিশ্বাস পেতেই পারে বাংলাদেশ। ২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপে হারার আগে ২০১১ এবং ২০১৫ সালের আসরেই ইংলিশদের হারিয়েছিলো টাইগাররা।

তবে এ জন্য বাংলাদেশকে ধন্যবাদ দিতেই পারে ইংল্যান্ড। কারণ ২০১৫ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের কাছে ইংল্যান্ডের হারের পর পুরো দলকে নতুনভাবে সাজিয়েছে ইংলিশ টিম ম্যানেজমেন্ট। ব্যাপক পরিবর্তনের পরে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে (ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি) সেরা দল হয়ে ওঠে ইংলিশরা।

২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে রানার্স-আপ এবং ২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয় ইংল্যান্ড। এবারের বিশ্বকাপের শিরোপা জয়েরও অন্যতম দাবীদার মরগ্যান বাহিনী। তবে, আবু ধাবির পিচ স্পিনারদের অনুকূলে থাকার কারণে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম দেখায় অসাধারণ কিছু করার সুযোগ থাকছে বাংলাদেশের সামনে।

এখনও পর্যন্ত এই ভেন্যুতে সুপার টুয়েলভের একটিমাত্র ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। যে ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে পাঁচ উইকেটে জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম ব্যাট করে ৯ উইকেটে ১১৮ রান করে। জবাবে ১৯ দশমিক ৪ ওভার ম্যাচ জিতে অজিরা। বল হাতে সুবিধা করেছিল দুই দলের স্পিনাররাই। ঐতিহাসিকভাবেই এশিয়ার উইকেটে স্পিনে দুর্বলতা আছে ইংল্যান্ডের।

যদিও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বাংলাদেশের পারফরমেন্স আশানুরুপ নয়। এখন পর্যন্ত ১১৬ ম্যাচ খেলে ৪৩টি জিতেছে তারা। হেরেছে ৭১ ম্যাচে, আর দু’টি হয়েছে পরিত্যক্ত। আর ক্রিকেটের এই সংক্ষিপ্ত সংস্করণের বিশ্বকাপে ২৮টি ম্যাচ খেলে মাত্র সাতটিতে জিতেছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে বাছাই পর্ব থেকেই ছয়টি জয় এসেছে, যার সর্বশেষটি এসেছে পাপুয়া নিউ গিনির বিপক্ষে।

বাংলাদেশ একাদশ (সম্ভাব্য):
মোহাম্মদ নাঈম, লিটন দাস, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (অধিনায়ক), আফিফ হোসাইন, সৌম্য সরকার , মাহেদী হাসান, রুবেল , তাসকিন আহমেদ ও মুস্তাফিজুর রহমান।

ইংল্যান্ড একাদশ (সম্ভাব্য): 
জেসন রয়, জস বাটলার (উইকেটরক্ষক), ডেয়িড মালান, জনি বেয়ারস্টো, লিয়াম লিভিংস্টোন, ইয়ন মরগ্যান (অধিনায়ক), মঈন আলী, ক্রিস ওকস, ক্রিস জর্ডান, আদিল রশিদ, টিমাল মিলস/মার্ক উড।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে