ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জিতে নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। তবে এই জয় ছিল নাটকীয়তায় ভরা। প্রথমে দলের বিপর্যয়ের মুখে অসাধারণ এক সেঞ্চুরিতে ইংল্যান্ডকে বড় পুঁজি এনে দিয়েছিলেন জনি বেয়ারস্টোর। টার্গেটে নেমে ৭৩ রান তুলতেই ৫ উইকেট হারিয়ে বসেছিল অজিরা। 

সেখান থেকে গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ও আলেক্স ক্যারির ষষ্ঠ জুটির কল্যাণে শেষ পর্যন্ত সিরিজ জয় করলো অস্ট্রেলিয়া।

বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাতে ওল্ড ট্রাফোর্ডে তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে ইংল্যান্ডের ছুড়ে দেওয়া ৩০৩ রানের টার্গেট ২ বল ও ৩ উইকেট হাতে রেখে ছুঁয়ে ফেলে সফরকারীরা। এই সুবাদে ২-১ এ সিরিজ নিজেদের করল সফরকারী অজিরা। প্রথম ওয়ানডেতে অস্ট্রেলিয়ার ১৯ রানে জয়ের পর দ্বিতীয় ওয়ানডে স্বাগতিক ইংল্যান্ড জিতে নেয় ২৪ রানে। আর এর মধ্য দিয়ে ২০১৫ সালের পর এই প্রথম ইংল্যান্ডের মাটিতে ওয়ানডে সিরিজ জিতল অস্ট্রেলিয়া।

ম্যানচেস্টারে টস জিতে আগে ব্যাট করে ৭ উইকেটে ৩০২ রান করে ইংল্যান্ড। জবাবে ৭৩ রানে ৫ উইকেট হারানো অস্ট্রেলিয়া ম্যাক্সওয়েল-ক্যারি ষষ্ঠ উইকেটে তারা দুজন রেকর্ড ২১২ রান তুলে জয় হাতের নাগালে নিয়ে আসেন। তবে শেষ দিকে এই দুজনকেই ফিরিয়ে ইংলিশ বোলাররা নাটকের রসদ জুগিয়েছিল। তবে প্যাট কামিন্সকে নিয়ে মিচেল স্টার্ক সেই চাপ সামাল দিয়ে বিজয়ীর হাসি নিয়ে মাঠ ছাড়েন।

ম্যাক্সওয়েল ৯০ বলে ৪টি চার ও ৭ ছক্কায় ১০৮ রান করে আউট হন। আর ক্যারি ১১৪ বল খেলে ৭টি চার ও ২ ছক্কায় করেন ১০৬ রান। ৮৪ বলে ওয়ানডে ক্যারিয়ারে দ্বিতীয় সেঞ্চুরি পূরণ করেন ম্যাক্সওয়েল। অন্যদিকে ক্যারি তার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি পূরণ করেন ১০৬ বলে। অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে যা সর্বোচ্চ।

ম্যাচের ১৫ বল হাতে থাকতে ম্যাক্সওয়েল ফিরে যান আদিল রশিদের শিকার হয়ে। ৪৯তম ওভারের শেষ বলে ফেরেন ক্যারি। শেষ ওভারে জয়ের জন্য অস্ট্রেলিয়ার দরকার ছিল ১০ রান। মিচেল স্টার্ক আদিল রশিদকে প্রথম বলে ছক্কা ও এরপর চার হাঁকিয়ে দুই বল হাতে রেখেই দলের জয় নিশ্চিত করেন তিনি। ৩ বলে একটি করে চার ও ছক্কায় অপরাজিত ১১ রান করেন স্টার্ক। কামিন্স ৫ বলে অপরাজিত ৩ রান করেন। ইংল্যান্ডের পক্ষে ক্রিস ওকস ও জো রুট ২টি করে উইকেট নিয়েছেন।

এর আগে ইংল্যান্ড প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের প্রথম দুই বলে জ্যাসন রয় ও জো রুটকে হারিয়ে বসে। দুজনকেই ফেরান স্টার্ক। পরে জাম্পার আঘাতে ৯৬ রানে ৪ উইকেটে পরিণত হয় ইংল্যান্ড। সেখান থেকে দলটিকে লড়াইয়ে ফেরান বেয়ারস্টো। তুলে নেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারে নবম সেঞ্চুরি। ১২৬ বলে ১২ চার ও ২ ছক্কায় ১১২ রান করেন তিনি।

এছাড়া স্যাম বিলিংস ৫৭ ও ক্রিস ওকসের অপরাজিত ৫৩ রানে ভর করে ৩০২ রানের লড়াকু সংগ্রহ দাঁড় করায় স্বাগতিকরা। অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে স্টার্ক ও জাম্পা সর্বাধিক ৩টি করে উইকেট নেন। ম্যাচ ও সিরিজ সেরা নির্বাচিত হন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল।

এর মধ্য দিয়ে পাঁচ বছর পর ঘরের মাঠে ওয়ানডে সিরিজ হারলো ইংল্যান্ড।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে