তানভির ইসলামের ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে আয়ারল্যান্ড উলভসের বিপক্ষে ইনিংস ও ২৩ রানের বড় ব্যবধানে জয় তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ ইমার্জিং দল।

প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট নেয়া বাঁহাতি অর্থডক্স স্পিনার একাই ধসিয়ে দিয়েছেন সফরকারীদের দ্বিতীয় ইনিংস, নিয়েছেন ৮টি উইকেট। যাতে ১৩৯ রানেই গুটিয়ে গেছে আইরিশরা।

এর আগে ইয়াসির আলীর অনবদ্য ব্যাটিংয়ে আয়ারল্যান্ড উলভসের বিপক্ষে ১৬২ রানের বড় লিড পায় সাইফের দল। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ফের তানভির ইসলামের মায়াবী ছোবলের মুখে পড়ে সফরকারীরা। যাতে দ্বিতীয় দিন শেষেই ইনিংস ব্যবধানে জয়ের স্বপ্ন দেখে বাংলাদেশ।

শুক্রবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে শুরু হওয়া পাঁচ দিনের একমাত্র আনঅফিসিয়াল ম্যাচের প্রথম ইনিংসে তানভিরের স্পিনে বিধ্বস্ত হয়ে ১৫১ রানেই গুটিয়ে যায় আইরিশরা। বরিশালের এই তরুণ বাঁহাতি অর্থডক্স স্পিনার একাই পাঁচ উইকেট তুলে নেন ৫৫ রানের বিনিময়ে। এছাড়া এবাদত হোসাইন ও সাইফ হাসান ২টি করে এবং খালেদ আহমেদ নেন বাকি উইকেটটি।

জবাবে নিজেদের প্রথম ইনিংসে সাইফ হাসানের দল থামে ৩১৩ রানে। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৯২ রান করেন ইয়াসির আলী। এছাড়া সাইফ হাসান ৪৯, মাহমুদুল হাসান জয় ৪২, তানজিদ হাসান তামিম ৪১ ও তৌহিদ হৃদয় ৩৬ রান করেন। আইরিশদের পক্ষে মার্ক আডায়ার ও গ্রাহাম হিউম শিকার করেন তিনটি করে উইকেট।

ফলে ১৬২ রানে পিছিয়ে থেকে ফের ব্যাট করতে নেমে আবারও বিপর্যয়ে পড়ে সফরকারীরা। এবারও আয়ারল্যান্ড উলভসের জন্য কাঁটা হয়ে দাঁড়ান প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট শিকার করা তানভির ইসলাম। আগের দিনের শেষ ভাগে একাই ৩টি উইকেট শিকার করা বরিশালের এই তরুণ আজ তৃতীয় দিনে লাঞ্চের পরেই একে একে তুলে নেন আরও পাঁচটি উইকেট। এছাড়া ১টি করে উইকেট শিকার করেন এবাদত হোসেন ও অধিনায়ক সাইফ হাসান।

দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫৫ রান করে তানভিরের শিকার হন আইরিশ দলপতি হ্যারি টেক্টর। ১৩৭ বলে ৭টি চারের সাহায্যে সাজানো তার এই ইনিংসের কারণে লাঞ্চের আগ পর্যন্ত কোনও উইকেট তুলে নিতে পারেনি টাইগাররা। তবে লাঞ্চের পরে ফিরেই আঘাত হানেন সাইফ হাসান। সাইফের ব্রেক-থ্রুর পর একে একে বাকি পাঁচটি উইকেট একাই তুলে নেন তানভির। ৫১ রানের বিনিময়ে ৮টি উইকেট দখল করেন সাকিবের এই উত্তরসূরি। যা ম্যাচ সেরা এই তরুণের ক্যারিয়ারের সেরা বোলিং ফিগার।

এর আগে দ্বিতীয় দিনের দ্বিতীয় সেশনের আগে দলের হাল ধরা ইয়াসির ও হৃদয় চতুর্থ উইকেটে গড়েন ১১২ রানের পার্টনারশিপ। দলীয় ২৪৫ রানে সাজঘরে ফেরেন হৃদয়। গার্থের শিকার হয়ে ৭৪ বলে ৩৬ রান করে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন তিনি। তার বিদায়ের পরও স্বাচ্ছন্দ্যে খেলছিলেন ইয়াসির। তবে গার্থ শিকার হন তিনিও। লোকাল হিরোর ১১৫ বলের মোকাবেলায় ৯২ রানে ইতি ঘটা ইনিংসে ছিল ৮টি চার ও ৫টি ছক্কা।

এর আগে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ১৫১ রানে গুটিয়ে যায় আয়ারল্যান্ড উলভস। তানভির ইসলাম শিকার করেন ৫টি উইকেট।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে