পাকিস্তানের সিনেট নির্বাচনে একটি বড় ধাক্কার পর পার্লামেন্টের আস্থা ভোটে জয়ী হয়ে টিকে গেলেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। বিরোধীদের বর্জন ও প্রতিবাদের মধ্যেই আজ শনিবার এই ভোটের আয়োজন করা হয়।
আস্থা ভোটে জয়ী হতে ৩৪২ সদস্য বিশিষ্ট নিম্নকক্ষে ১৭২ ভোট দরকার পড়লেও ইমরান খান ১৭৮টি ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন বলে এক ঘোষণায় জানান দেশটির পার্লামেন্ট স্পিকার আসাদ কাইসার। তিনি বলেন, আট বছর আগে প্রধানমন্ত্রী আস্থা ভোটে ১৭৬টি ভোট পেলেও এবার তিনি আরও দুটি ভোট বেশি পেয়েছেন।
ফল ঘোষণার পরেই আমির লিয়াকত নামের এক আইনপ্রণেতাকে কথা বলার জন্য ফ্লোর দেন স্পিকার। আর ফ্লোর পেয়েই আস্থা ভোটে জয়ী প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের তারিফ করে একটি কবিতা আবৃত্তি করেন লিয়াকত।
ইমরান খানের উদ্দেশ্যে আরেক আইনপ্রণেতা মাকবুল সিদ্দিকী বলেন, আস্থা ভোটে আপনি জয়ী হয়েছেন। এবার দেশবাসীর মধ্যে আস্থা ফেরানোর সময় এসেছে।
এর আগে আস্থা ভোট চলাকালে পার্লামেন্টের বাইরে ইমরান খানের সমর্থনে স্লোগান দিতে দেখা যায় পিটিআই সমর্থকদের।
এদিকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শহীদ খাকান আব্বাসি, আহসান ইকবাল, মুসাদ্দিক মালিক ও খুররাম দস্তগিরসহ পিএমএল-নওয়াজের নেতৃবৃন্দ এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর কঠোর সমালোচনা করেন।
খাকান আব্বাসি বলেন, সংবিধান অনুসারে প্রধানমন্ত্রী আস্থা ভোটের আহ্বান জানাতে পারেন না। এই ক্ষমতা একমাত্র প্রেসিডেন্টের, যদি তিনি মনে করেন প্রধানমন্ত্রী আইনপ্রণেতাদের আস্থা হারিয়েছেন, তবে তিনি ভোটের আয়োজন করতে পারেন।
এর আগে সিনেট নির্বাচনে আলোচিত একটি আসনে দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানির কাছে অর্থমন্ত্রী হাফিজ শেখ হেরে যাওয়ার পর নিজেই জাতীয় পরিষদে এই আস্থা ভোটের ডাক দেন ইমরান খান।
-হিন্দুস্তান টাইমস।