আশির দশকের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক সাত্তার আর নেই। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টায় নারায়ণগঞ্জে নিজ বাসায় ইন্তেকাল করেন তিনি (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহির রাজিউন)।

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক পরিবেশক সমিতির সভাপতি খোরশেদ আলম খসরু চিত্রনায়ক সাত্তারের মৃত্যুর সংবাদটি নিশ্চিত করেছেন।

খোরশেদ আলম খসরু বলেন, ‘সাত্তার ভাই একসময়ে জনপ্রিয় নায়ক ছিলেন। তিনি বহু সিনেমায় অভিনয় করেছেন। দীর্ঘদিন ধরে তিনি অসুস্থ ছিলেন, তার চিকিৎসা চলছিল। কিন্তু সবাইকে কাঁদিয়ে তিনি না ফেরার দেশে চলে গেলেন। আমি তার আত্মার শান্তি কামনা করছি এবং তার শোকাহত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।’

চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খানও চিত্রনায়ক সাত্তারের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি ফেসবুকে লেখেন, ‘চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির আজীবন সদস্য চিত্রনায়ক সাত্তার সন্ধ্যা ৭টায় ইন্তেকাল করেছেন।’

উল্লেখ্য, চলচ্চিত্রে সাত্তারের প্রথম উপস্থিতি ১৯৬৮ সালে। লোকজ গল্পের সিনেমায় তিনি দারুণ সাফল্য পেয়েছিলেন। ইবনে মিজানের ‘আমির সওদাগর ও ভেলুয়া সুন্দরী’ সিনেমাতে শিশুশিল্পীর চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। তার নায়ক হয়ে ওঠার ঘটনা আরও পরে।

১৯৮৪ সালে ‘নতুন মুখের সন্ধানে’ প্রতিযোগিতা থেকে বেরিয়ে সাত্তার কাজ করেন কাজী হায়াৎ এর ‘পাগলী’ সিনেমাতে। আজিজুর রহমানের ‘রঙ্গিন রূপবান’, ‘অরুন বরুণ কিরণ মালা’, ‘কাঞ্চন মালা’, ইবনে মিজানের ‘পাতাল বিজয়’, চাষী নজরুল ইসলামের ‘শুভদা’, মিলন চৌধুরীর ‘রঙ্গিন সাত ভাই চম্পা’সহ সাত্তার অভিনীত চলচ্চিত্র সংখ্যা প্রায় দেড় শতাধিক।

দীর্ঘ ক্যারিয়ারে শাবানা থেকে শুরু করে রোজিনা, অঞ্জু, জিনাত, কবিতা, অলিভিয়া, রানীসহ অনেক সুপার হিট নায়িকার নায়ক ছিলেন সাত্তার। তার মৃত্যুতে সিনেমাপাড়ায় শোক নেমে এসেছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে