ক্রীড়া ডেস্ক :   বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে লড়াইটা জমজমাট করতে পারলো না ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা। চির প্রতিদ্বন্দ্বী দুই দেশের লড়াইয়ে যেখানে সবার আশা আক্রমণ পাল্টা আক্রমণ আর একের পর এক গোলের, সেখানে শুধু কিছুক্ষণ পরপর দেখা মিললো অযথা সব ফাউলের। ৪২টি ফাউলের মধ্য দিয়ে গোলশূণ্য ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়ে দুই দল।

বাংলাদেশ সময় বুধবার (১৭ই নভেম্বর) ভোরে শুরু হওয়া ম্যাচটি  আলবিসেলেস্তেদের কাছে ম্যাচটি ছিল বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এ ম্যাচ জিতলে আজই কাতার বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত হতে পারত। কিন্তু ৯০ মিনিটের এই খেলায় হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে দুই দলকেই।  গোলের দেখাতো মেলেইনি বরং ২১টি করে ফাউল করেছে দুই দেই। আর হলুদ কার্ড দেখেছে বেশ। আর্জেন্টিনা  দেখেছে ৪টি আর ব্রাজিল ৩টি।

ড্রয়ের ফলে ১৩ ম্যাচে ২৯ পয়েন্ট নিয়ে দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলে দুইয়ে আছে আর্জেন্টিনা। সমান ম্যাচে শীর্ষে থাকা ব্রাজিলের সংগ্রহ ৩৫। ড্র করেও শীর্ষস্থানে রয়েছে ব্রাজিল। তবে, চিলি ও ইকুয়েডর ম্যাচের ফল পক্ষে আসায় কাতার বিশ্বকাপের টিকেট নিশ্চিত হয় লিওনেল স্কালোনির দলের ইকুয়েডরের বিপক্ষে ২-০ গোলে হেরে যায় চিলি। তাতেই লাতিন আমেরিকা থেকে দ্বিতীয় দল হিসেবে আগামী বিশ্বকাপে উঠে যায় আর্জেন্টিনা।

ম্যাচের প্রথম ১০ মিনিট আর্জেন্টিনার দখলেই বল থাকে। অনেক চেষ্টা করেও নিজেকে খুঁজে পাচ্ছিলেন না আর্জেন্টাইন অধিনায়ক লিওনেল মেসি। ব্রাজিলের মাঝমাঠের খেলোয়াড়রা মেসিকে পথ খুলে দিচ্ছিল না।

নিজেদের গুছিয়ে নিয়ে আক্রমণে উঠে ব্রাজিলও। ১৬ মিনিটে মাঝমাঠ থেকে লুকাস পাকেতার পাসে বিপজ্জনক অবস্থানে বল পায় ভিনিসিয়াস জুনিয়র। তবে আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজকে একা পেয়েও গোল করতে পারেননি রিয়াল মাদ্রিদ ফরোয়ার্ড।

প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার ১০ মিনিট বাকি থাকতে ব্রাজিলের ডিবক্সের কাছে ফাউলের ​শিকার হন মেসি। কিন্তু বাঁশির শব্দ না শুনে বিস্ময়ের দৃষ্টিতে রেফারির দিকে তাকান মেসি। তাতে কোনো সাড়া দেননি রেফারি। প্রথমার্ধে আর্জেন্টিনা চারটি কর্নার পেয়েও কাজে লাগাতে পারেনি।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই দুটি পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নামে আর্জেন্টিনা লাউতারো মার্টিনেসকে উঠিয়ে জোয়াকিন কোরেয়াকে নামান স্কালোনি। ৭০ মিনিটের সময় বক্সের বাইরে থেকে বল পান ফ্রেড। তার দুর্দান্ত এক ভলি আর্জেন্টিনার গোলবারে আঘাত করে ফিরে আসে। ভাগ্যগুণে যে যাত্রায় রক্ষা পায় নীল-সাদার দল।

এর কিছু পরেই জিওভানি লো চেলসোর ফাউলে পেনাল্টির আবেদন জানায় ব্রাজিল। কিন্তু ভিএআর দেখে তাদের সেই আবেদনে সাড়া দেননি রেফারি। এর কিছু সময় পর পাল্টা আক্রমণে গোল করার সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করেন ব্রাজিলের ভিনিসিয়াস জুনিয়র।  তার শট সরাসরি এলে গ্লাভসবন্দী করেন মার্টিনেজ।

রেফারির বাঁশিতে গোলশূন্যাবস্থায় শেষ হয় ম্যাচ। এ ফলাফলের পর পয়েন্ট ভাগাভাগি করেই সন্তুষ্ট থাকতে হলো চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দুই দলকে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে