গত দুদিনের টানা ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ ও প্রাণহানি আজ কিছুটা কমেছে।
তারপরও এদিন ২ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণ ঝরেছে ভাইরাসটিতে। এতে করে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩ লাখ ৫৬ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন দেড় লাখের অধিক।
বরাবরের মতো আজও পিছিয়ে সুস্থতার হার।
যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটার নিয়মিত পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ১ লাখ ৬৬ হাজার ৪৪ জন মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এতে করে সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়ে ২ কোটি ৬ লাখ ১৭ হাজার ৩৪৬ জনে দাঁড়িয়েছে। নতুন করে প্রাণ হারিয়েছেন ২ হাজার ১২৯ জন। এ নিয়ে প্রাণহানি বেড়ে ৩ লাখ ৫৬ হাজার ৪৪৫ জনে ঠেকেছে।
অপরদিকে, সংক্রমণের তুলনায় কম হলেও গত ২৪ ঘণ্টায় করোনামুক্ত হয়েছেন ৫০ হাজারের বেশি ভুক্তভোগী। এতে করে সুস্থতার সংখ্যা ১ কোটি ২১ লাখ ২৭৫ হাজার ৮৪১ জনে পৌঁছেছে।
গত বছরের ২১ জানুয়ারি শিকাগোর এক বাসিন্দার মধ্যে প্রথম করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়। এরপর থেকে ক্রমান্বয়ে ভয়ানক হতে থাকে পরিস্থিতি।
যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের ধারণা ইতোমধ্যে তাদের দেশের অন্তত ২০ মিলিয়ন (দুই কোটি) মানুষ করোনার শিকার হয়েছেন। দ্য সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল (সিডিসি) বলছে, ‘প্রকৃত তথ্য হলো, প্রকাশিত সংখ্যার অন্তত ১০ গুণ বেশি মানুষ করোনার ভয়াবহতার শিকার।’
এর মধ্যে সংক্রমণ আশঙ্কাজনক হারে দীর্ঘ হচ্ছে ক্যালিফোর্নিয়ায়। যেখানে সংক্রমিতের সংখ্যা ২৩ লাখ ৪৬ হাজার। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২৬ হাজার ২৯৪ জনের। টেক্সাসে আক্রান্তের সংখ্যা ১৭ লাখ ৮৪ হাজারের বেশি। যেখানে প্রাণহানি ঘটেছে ২৮ হাজার ৫০৬ জনের। ফ্লোরিডায় করোনার শিকার ১৩ লাখ ২৩ হাজার মানুষ। ইতোমধ্যে সেখানে ২১ হাজার ৬৭৩ জনের প্রাণহানি ঘটেছে।
প্রাণহানিতে শীর্ষ শহর নিউইয়র্কে আক্রান্ত ১০ লাখ ৩১ হাজার। এর মধ্যে না ফেরার দেশে ৩৮ হাজার ১৪৫ জন ভুক্তভোগী। ইলিনয়েসে এখন পর্যন্ত করোনার ভুক্তভোগী ৯ লাখ ৭০ হাজারের বেশি। এর মধ্যে প্রাণ হারিয়েছেন ১৮ হাজার ১৭৩ জন। জর্জিজায় করোনা রোগীর সংখ্যা ৬ লাখ ৭৭ হাজারের অধিক। এর মধ্যে প্রাণ ঝরেছে ১০ হাজার ৯৫৮ জনের।
পেনসিলভেনিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা ৬ লাখ ৫৩ হাজার। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১৬ হাজার ২৮৬ জন মানুষ। নিউ জার্সিতে করোনার শিকার ৪ লাখ ৯২ হাজার মানুষ। এর মধ্যে প্রাণহানি ঘটেছে ১৯ হাজার ২৯৭ জনের।
এছাড়া উত্তর ক্যারোলিনা, টেনেসিস, উইসকনসিন, অ্যারিজোন, ওহিও, মিশিগানের মতো শহরগুলোতে আক্রান্তের সংখ্যা তিন লাখ ছাড়িয়েছে।