নিজ দলের খেলা দেখার জন্য সুদূর আমিরাতে ছুটে গেলেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের মালিক শাহরুখ খান। তাঁকে যে ভালোভাবেই স্বাগতম জানিয়েছে দলের খেলোয়াড়রা, লড়াই করার মতোই রান করল কলকাতা নাইট রাইডার্স। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ১৭৪ ভালোই স্কোর। তার ওপরে নাইটদের রয়েছে প্যাট কামিন্স, সুনীল নারাইন ও বরুণ চক্রবর্তীর মতো বোলার। 

যদিও শুরুতেই নাইট শিবিরে ধাক্কা দিতে পারত রাজস্থান। তৃতীয় (২.৫) ওভারে জয়দেব উনাদকাডের বলে সুনীল নারাইনের ক্যাচ ফেলেন প্রাক্তন নাইট রবিন উথাপ্পা। সেই উনাদকাডই পরে বোল্ড করলেন নারাইনকে (১৫)।

আগের ম্যাচে ব্যাট হাতে ঝড় তুলেছিলেন রাহুল তেওয়াটিয়া। এদিন তিনিই ফেরালেন নীতীশ রানাকে (২২)। জমে যাওয়া শুভমন গিলকে (৪৭) আউট করেন জোফ্রা আর্চার। আর্চারের বল বুঝতেই পারেননি গিল। আর্চারের দুরন্ত ডেলিভারিতে আউট হন কলকাতা অধিনায়ক দীনেশ কার্তিকও (১)। ব্যাটিং অর্ডারে তুলে আনা হয়েছিল আন্দ্রে রাসেলকে। যখন ভয়ঙ্কর হতে শুরু করেছেন রাসেল, ঠিক তখনই চন্দপতন। অঙ্কিত রাজপুতের শিকার রাসেল। ১৪ বলে ২৪ রানে আউট হন তিনি। তবে মরগান শেষ পর্যন্ত টিকে থেকে ২৩ বলে ৩৪ রান করায় কলকাতা পৌঁছয় ৬ উইকেটে ১৭৪-এ।

জবাব দিতে নামা রাজস্থান শিবিরে শুরুতেই আঘাত হানেন প্যাট কামিন্স। রাজস্থান অধিনায়ক স্মিথকে ৩ রানে আউট করেন স্বদেশী বোলার। তার ওভারের পঞ্চম বলেও ক্যাচ তুলে বেঁচে গিয়েছিলেন স্মিথ। পরের বলেই কার্তিকের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন স্মিথ।

প্রথম দুটো ম্যাচে দুর্দান্ত খেলেছিলেন রাজস্থানের রান মেশিন সঞ্জু স্যামসন। স্মিথ ফিরে যাওয়ার পরে তাঁর উপরে তাই দায়িত্ব ছিল অনেক। কিন্তু শিভম মাভির বলে ফর্মে থাকা সঞ্জুকে ফিরতে হলো মাত্র ৮ রান করে। পরে জস বাটলারও শিকার হন নাইট বোলার মাভির। একটু পরেই কমলেশ নাগারকোটির বলে ফিরতে হলো উথাপ্পাকে (২)। নাগারকোটির বলে শুভমান গিলের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হলেন রিয়ান পরাগ (১)। যাতে অষ্টম ওভারেই (৭.৪) রাজস্থানের স্কোর ৫ উইকেটে ৪২!

এরপর ৬৬ রানের মাথায় আউট হন আগের ম্যাচে ব্যাট হাতে ঝড় তোলা রাহুল তেওয়াটিয়াও। ১০ বলে ১৪ রান করা তেওয়াটিয়াকে থামান বরুণ চক্রবর্তী। দলের এই অবস্থায় শ্রেয়াস গোপাল (৫) নারাইনের শিকার হলে ৮১ রানেই সপ্তম উইকেট হারায় রাজস্থান। শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেটে ১৩৭ রানে থেমে যায় স্মিথের দল। ফলে কলকাতা তাদের দ্বিতীয় জয়টি পায় ৩৭ রানের।

বিপরীতে ৫৪ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে একাই লড়াই চালিয়ে গেছেন টম কারান। তার ৩৬ বলের ইনিংসে ছিল দুটি চারের সঙ্গে তিনিটি বিশাল ছক্কার মার।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে