প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমরা বহুমুখী শিক্ষা ব্যবস্থা চালুর লক্ষ্যে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, বিশ্ববিদ্যালয় ও কারিগরি শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করেছি।
আমাদের ছেলে-মেয়েরা যাতে দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গড়ে উঠতে পারে, যেন পর মুখাপেক্ষী না হয়ে নিজেরা কাজ করতে পারে সেই লক্ষ্যেই কাজ করছে সরকার।
তিনি বলেন, ‘জাতির পিতার আহ্বানে সাড়া দিয়ে ছাত্র ও যুব সমাজই অস্ত্র তুলে নিয়েছিল, যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছে। আমাদের প্রতিটি অর্জনের পেছনে যুবকদের অনেক অবদান রয়েছে।’
আজ রোববার বঙ্গবন্ধু জাতীয় যুব দিবসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দেয়া ভাষণে এসব কথা বলেন তিনি। গণভবন থেকে ভার্চুয়াল কনফারেন্সের মাধ্যমে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী।
সরকার প্রধান বলেন, ‘মাত্র ৫৪ বছর বয়সেই ঘাতকদের গুলিতে বঙ্গবন্ধুকে চলে যেতে হয়েছে। তিনি দেশ স্বাধীন করে দিয়েছিলেন যাতে এ দেশের মানুষ উন্নত জীবন পায়। একটি ধ্বংসস্তুপের ওপর দাঁড়িয়ে তিনি যাত্রা শুরু করেছিলেন। মাত্র ৯ মাসেই তিনি একটি সংবিধান রচনা করেছিলেন। যেখানে এদেশের যুবকদের অধিকার ও কর্মসংস্থানের কথা বলা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘দেশ গড়ে তোলার পেছনে যুবকদেরও অবদান রয়েছে। একটি দেশকে গড়ে তুলতে হলে যে বয়সটি দরকার, সেটা যুবকদেরই বয়স। এ বয়সেই সবকিছু চিন্তা ভাবনা করে মেধা ও শ্রম দিয়ে একটি দেশ গড়ে তোলা যায়।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘৭৫- পরবর্তী সংবিধান লঙ্ঘন করে যারা ক্ষমতায় এসেছিল, তারা আমাদের ছাত্র ও যুবকদের বিভ্রান্তের পথে নিয়েছিল। তাদের হাতে অস্ত্র ও অর্থ তুলে দিয়ে অবৈধ ক্ষমতা দখলের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। অপরদিকে, সেই সময়ে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও মুক্তিযোদ্ধাদের নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘৭৫-৯৬ পর্যন্ত বাংলাদেশ এক কদমও এগোতে পারেনি। অথচ আমাদের ভাল সম্ভাবনা ছিল। বাংলাদেশ এমন একটি দেশ, যেখানে সবচেয়ে বেশি তরুণ প্রজন্ম রয়েছে, যারা সুযোগ পেলে দেশকে ভাল কিছু দিতে পারে, কাজ করতে পারে। জাতির পিতা সেদিকে লক্ষ্যই রেখে যুবকদের প্রশিক্ষিত করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার প্রথম প্রতিবাদ করেছিলেন এই যুবকরাই।’
বাংলাদেশ যাতে বিশ্বের বুকে একটি স্বাধীন দেশ হিসেবে মর্যাদা নিয়ে চলতে পারে। সেই সাথে আমাদের দেশ যেন আত্মনির্ভরশীল ও আত্মপর্যাদাশীল হতে পারে সে জন্য জাতির পিতার আদর্শ সামনে নিয়ে আমাদের যুব সমাজ গড়ে তুলতে হবে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।