ডেস্ক রিপোর্ট:

এক মাসের ব্যবধানে আবারো বন্যার কবলে সিলেট ও সুনামগঞ্জবাসী। নতুন করে ডুবেছে সিলেট সদর, কোম্পানীগঞ্জ, গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুরসহ ৭টি উপজেলার নিম্নাঞ্চল।

এসব এলাকার বাড়ি-ঘর, মসজিদ, মন্দির ও রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে গেছে। একইচিত্র সুনামগঞ্জেও।

জেলা সদর, বিশ্বম্ভরপুর, তাহিরপুর, দোয়ারাবাজার, ছাতকসহ ৭ উপজেলা আবারো প্লাবিত হয়েছে। সুনামগঞ্জ সদরের সাথে বিচ্ছিন্ন রয়েছে চার উপজেলার সড়ক যোগাযোগ। এদিকে, তিস্তা ও ব্রহ্মপূত্র নদীর পানি বেড়ে কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাটেও বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে।

গত বন্যার ক্ষত এখনো দৃশ্যমান। সেই ধাক্কা সামলে উঠতে পারেননি, সিলেটের প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষ। মাস ঘুরতেই ফের বন্যা দেখা দিয়েছে সিলেটজুড়ে। গত কয়েকদিনের টানা ভারী বর্ষণ, উজানের পাহাড়ি ঢলে প্লাবিত হচ্ছে একের পর এক উপজেলা।

সুরমা নদীর পানি বাড়তে থাকায় সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ, গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর, কানাইঘাট, সিলেট সদর, দক্ষিণ সুরমা এবং নগর এলাকার নিম্নাঞ্চলে পানি উঠেছে। এসব এলাকার বাড়ি-ঘর, মসজিদ, মন্দির, রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে পানিতে। বন্ধ হয়ে পড়েছে অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, সুরমা-কুশিয়ারা, সারি, লোভাছড়া ও ধলাই নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। সুরমা ও কুশিয়ারার ৪টি পয়েন্টে পানি বিপদসীমা অতিক্রম করেছে।

সুনামগঞ্জেও বন্যা পরিস্থিতির ফের অবনতি হয়েছে। বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে সুনামগঞ্জ পয়েন্টে সুরমার পানি। এতে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে জেলার তাহিরপুর, বিশ্বম্ভপুর, দোয়ারাবাজার ও ছাতকের বিভিন্ন এলাকার কয়েক লক্ষাধিক মানুষ। সরাসরি সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে জেলা সদরের সাথে ছাতক ও তাহিরপুর, বিশম্ভপুর ও জামালগঞ্জ উপজেলার।

কুড়িগ্রামের রৌমারি ও চররাজিবপুর উপজেলায় সড়ক থেকে এখনো পানি নামেনি। এসব এলাকায় বিশুদ্ধ খাবার পানির সংকট দেখা দিয়েছে। ব্রহ্মপুত্রের পানি দ্রুত বাড়তে থাকায়, প্লাবিত হয়েছে চরাঞ্চলের নিচু এলাকা। পানি উঠেছে ৫ শতাধিক বাড়িঘরে।

লালমনিরহাটেও ফের তিস্তা নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। ব্যারেজের ৪৪টি জলকপাট খুলে দিয়ে পানি নিয়ন্ত্রণ করছে কর্তৃপক্ষ। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে যে কোন সময় বন্যার আশংকা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে