আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে আবগারি শুল্কের সীমা বাড়িয়ে ১ লাখ থেকে ৩ লাখ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। বাজেটে এই প্রস্তাব করেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ।
সোমবার (২ জুন) বিকেল ৩টায় ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থ উপদেষ্টা। রাজনৈতিক সরকার না থাকায় এবং জাতীয় সংসদ কার্যকর না থাকায় এবার সংসদে বাজেট উপস্থান করা হচ্ছে না। বাংলাদেশ টেলিভিশনে অর্থ উপদেষ্টার বাজেট বক্তব্য সম্প্রচার করা হচ্ছে।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, বাজেটে আবগারি শুল্কের সীমা বাড়িয়ে ১ লাখ থেকে ৩ লাখ টাকা করা হয়েছে। এর ফলে সাধারণ আমানতকারীরা কিছুটা সুবিধা পাবেন।
তিনি বলেন, জনসাধারণকে কিছুটা স্বস্তি দেওয়ার লক্ষ্যে কতিপয় ক্ষেত্রে ভ্যাট ও আবগারি শুল্ক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। যেমন- ১ লাখ টাকার পরিবর্তে ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত ব্যাংক স্থিতির ওপর আবগারি শুল্ক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এলএনজির আমদানি পর্যায়ে ভ্যাট অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
আগামী বাজেটে তিনি প্রস্তাব করে বলেন, আমদানি পণ্যের শুল্ক-কর হার পর্যায়ক্রমে হ্রাস করা এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য সংলাপের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে ১১০টি পণ্যের আমদানি শুল্ক সম্পূর্ণ প্রত্যাহার, ৬৫টি পণ্যের আমদানি শুল্ক হ্রাস, ৯টি পণ্যের সম্পূরক শুল্ক সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাহার এবং ৪৪২টি পণ্যের সম্পূরক শুল্ক হ্রাস করার প্রস্তাব করছি।
বর্তমানে বলবৎ ন্যূনতম ও ট্যারিফ মূল্য পর্যায়ক্রমে প্রত্যাহার করার অংশ হিসেবে বিদ্যমান সব ট্যারিফ মূল্য প্রত্যাহারের প্রস্তাব করছি। একই সঙ্গে ৮৪টি পণ্যের ন্যূনতম মূল্য প্রত্যাহার ও ২৩টি পণ্যের ন্যূনতম মূল্যবৃদ্ধি করে শুল্ক মূল্য যৌক্তিক করার প্রস্তাব করছি।
প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ধরা হয়েছে ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা। এটি চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মূল বাজেটের (৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা) তুলনায় ৭ হাজার কোটি টাকা কম, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বাজেটের আকার হ্রাস পাওয়ার ঘটনা।