Dhaka ০২:০৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৭ মে ২০২৫, ২৩ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আপিল বিভাগেও জামিন পেলেন না বগুড়ার বহুল আলোচিত বহিস্কৃত শ্রমিক লীগ নেতা তুফান

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৬:৫২:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ জুন ২০২১
  • ১৪৮ Time View

নিজস্ব প্রতিবেদক:

বগুড়ায় বহুল আলোচিত কিশোরী ধর্ষণ এবং কিশোরী ও তার মাকে নির্যাতনের পর মাথা ন্যাড়া করে দেওয়ার ঘটনায় গ্রেপ্তার বহিষ্কৃত শ্রমিক লীগ নেতা তুফান সরকারকে দুর্নীতির মামলায় হাইকোর্টের পর আপিল বিভাগও জামিন দেয়নি।

বুধবার (২ জুন) প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ভার্চুয়াল আপিল বেঞ্চ হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে তুফান সরকারের করা আবেদন খারিজ করে আদেশ দেন। আদালতে তুফান সরকারের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী শরীফ উদ্দিন চাকলাদার। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।

রাষ্ট্রপক্ষ জানিয়েছে, শ্রমিক লীগ নেতা তুফান সরকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন। আসামি তুফান সরকারের আয়ের কোনো উৎস ছিল না। তিনি আয়কর রিটার্নে ১ কোটি ৫৯ লাখ ৫৮ হাজার ৮৮৫ টাকা দেখান। দুদকের নোটিশে সম্পদের সঠিক হিসাব দেননি তিনি। এ কারণে দুদকের সহকারী পরিচালক মো. আমিনুল ইসলাম ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর বগুড়া সদর থানার মামলা করেন। এ আসামি ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে ২০১৭ সালের ২৯ থেকে জেল হাজতে আছেন।

তার জামিন আবেদনের শুনানি নিয়ে গত বছরের ৯ সেপ্টেম্বর রুল জারি করেন হাইকোর্ট। এ রুল বিচারাধীন থাকা অবস্থায় ফের ৯ মার্চ জামিন আবেদন করেন তুফান। তখন বিষয়টি দুদকের আইনজীবী ব্যারিস্টার সাজ্জাদ হোসেন আদালতের নজরে আনেন। এরপর ১ মার্চ আদেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।

প্রসঙ্গত, এক কলেজ ছাত্রীকে কৌশলে বাসায় নিয়ে ধর্ষণ এবং পরে ধর্ষিতা ও তাঁর মায়ের মাথা ন্যাড়া করার অভিযোগে তুফান সরকারের বিরুদ্ধে ২০১৭ সালের ২৯ জুলাই বগুড়া সদর থানায় দুটি মামলা করেন মেয়েটির মা।

ওই মামলায় সেদিনই পুলিশ প্রধান আসামি তুফান সরকার, তার স্ত্রী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও শ্যালিকা পৌর কাউন্সিলর, নাপিতসহ বেশ ১১ জনকে গ্রেপ্তার করে। পরে তদন্ত শেষে ধর্ষণ মামলায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ১০ জনকে এবং মাথা ন্যাড়া করার মামলায় দণ্ডবিধিতে ১৩ জনকে আসামি করে একইবছরের ১০ অক্টোবর পৃথক দুটি অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। এরমধ্যে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের মামলা বগুড়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

আপিল বিভাগেও জামিন পেলেন না বগুড়ার বহুল আলোচিত বহিস্কৃত শ্রমিক লীগ নেতা তুফান

Update Time : ০৬:৫২:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ জুন ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক:

বগুড়ায় বহুল আলোচিত কিশোরী ধর্ষণ এবং কিশোরী ও তার মাকে নির্যাতনের পর মাথা ন্যাড়া করে দেওয়ার ঘটনায় গ্রেপ্তার বহিষ্কৃত শ্রমিক লীগ নেতা তুফান সরকারকে দুর্নীতির মামলায় হাইকোর্টের পর আপিল বিভাগও জামিন দেয়নি।

বুধবার (২ জুন) প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ভার্চুয়াল আপিল বেঞ্চ হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে তুফান সরকারের করা আবেদন খারিজ করে আদেশ দেন। আদালতে তুফান সরকারের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী শরীফ উদ্দিন চাকলাদার। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।

রাষ্ট্রপক্ষ জানিয়েছে, শ্রমিক লীগ নেতা তুফান সরকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন। আসামি তুফান সরকারের আয়ের কোনো উৎস ছিল না। তিনি আয়কর রিটার্নে ১ কোটি ৫৯ লাখ ৫৮ হাজার ৮৮৫ টাকা দেখান। দুদকের নোটিশে সম্পদের সঠিক হিসাব দেননি তিনি। এ কারণে দুদকের সহকারী পরিচালক মো. আমিনুল ইসলাম ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর বগুড়া সদর থানার মামলা করেন। এ আসামি ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে ২০১৭ সালের ২৯ থেকে জেল হাজতে আছেন।

তার জামিন আবেদনের শুনানি নিয়ে গত বছরের ৯ সেপ্টেম্বর রুল জারি করেন হাইকোর্ট। এ রুল বিচারাধীন থাকা অবস্থায় ফের ৯ মার্চ জামিন আবেদন করেন তুফান। তখন বিষয়টি দুদকের আইনজীবী ব্যারিস্টার সাজ্জাদ হোসেন আদালতের নজরে আনেন। এরপর ১ মার্চ আদেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।

প্রসঙ্গত, এক কলেজ ছাত্রীকে কৌশলে বাসায় নিয়ে ধর্ষণ এবং পরে ধর্ষিতা ও তাঁর মায়ের মাথা ন্যাড়া করার অভিযোগে তুফান সরকারের বিরুদ্ধে ২০১৭ সালের ২৯ জুলাই বগুড়া সদর থানায় দুটি মামলা করেন মেয়েটির মা।

ওই মামলায় সেদিনই পুলিশ প্রধান আসামি তুফান সরকার, তার স্ত্রী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও শ্যালিকা পৌর কাউন্সিলর, নাপিতসহ বেশ ১১ জনকে গ্রেপ্তার করে। পরে তদন্ত শেষে ধর্ষণ মামলায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ১০ জনকে এবং মাথা ন্যাড়া করার মামলায় দণ্ডবিধিতে ১৩ জনকে আসামি করে একইবছরের ১০ অক্টোবর পৃথক দুটি অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। এরমধ্যে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের মামলা বগুড়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন।