আধুনিক প্রযুক্তির অভাবে আকাশসীমার সঠিক ব্যবহার করতে না পারায় প্রতিবছর কয়েকশ কোটি টাকা লোকসান গুণছে বাংলাদেশ। সক্ষমতা না থাকায় বিভিন্ন দেশের এয়ারলাইন্স অবৈধভাবে বাংলাদেশের আকাশ ব্যবহার করছে।

সম্প্রতি ফ্রান্স থেকে আনা অত্যাধুনিক রাডার সিস্টেম প্রতিস্থাপন হলে রাজস্ব আয় বৃদ্ধির পাশপাশি উন্নত হবে এয়ার ট্রাফিক ব্যবস্থাপনাও। বিরুপ আবহাওয়ায় নিরাপদে বিমান অবতরণও সহায়ক হবে।

জানতে চাইলে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুর রহমান জানান, ‘রাডার স্থাপন হলে বাংলাদেশের আকাশে আন্তর্জাতিক রুটে যেসকল বিমান চলাচল করে তাদের সাথে সক্ষমতা বাড়বে। বর্তমানে আমাদের আকাশসীমা প্রতিবেশী দেশগুলো নিয়ন্ত্রণ করে। সক্ষমতা বাড়লে আমরা এগুলো নিয়ন্ত্রণ করতে পারবো। বর্তমানে তাদের সাথে রাজস্ব ভাগাভাগি বা শেয়ার হয়, কিন্তু নতুন রাডার সিস্টেম স্থাপিত হলে পুরোটাই আমরা পেতে পারি।’

বাংলাদেশের আকাশ সীমায় বিভিন্ন দেশের এয়ারলাইন্সগুলো অবৈধভাবে প্রবেশ করতো এখন আর তা সম্ভব হবে না। সেইসঙ্গে দেশের নিরাপত্তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে নতুন রাডার।

তিনি বলেন, ‘এয়ার ট্রাফিক প্রতিনিয়ত বাড়ছে। এটাকে ম্যানেজ করার জন্য আধুনিক পদ্ধতি দরকার, যেটা বর্তমানে আমাদের নেই। নতুন এই এই প্রযুক্তিতে কমিউনিকেশন সিস্টেম আছে। যার মাধ্যমে সমুদ্রে আমাদের পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা বাড়ানো সম্ভব হবে।’

আর এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ ওয়াহিদুল আলম বলেন, ‘আধুনিক রাডার কেনার সিদ্ধান্ত সময় উপযোগী। নতুন রাডার কেনা হলে আকাশ সীমনায় দখল আরও বাড়বে।’

তিনি বলেন, ‘এই সিস্টেমটা উন্নত করতে পারলে বেশি মাত্রায় নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে। পাশাপাশি আমাদের আর্থিক আয়ও বাড়বে। যা থেকে আমরা দীর্ঘদিন ধরে বঞ্চিত হয়ে আসছি। তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব রাডার স্থাপন করা দরকার।’

নতুন এই রাডার দেশের যেকোন প্রান্তে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল সিস্টেমের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের পাশাপাশি ঢাকা ও চট্টগ্রামের রাডারের সঙ্গেও সমন্বয় করা সম্ভব হবে বলে জানা গেছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে