Dhaka ০৭:০৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫, ২৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আজ পবিত্র বুদ্ধ পূর্ণিমা

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৩:৩১:৫২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১১ মে ২০২৫
  • ৯ Time View

আজ পবিত্র বুদ্ধপূর্ণিমা। দেশ ও দেশের বাইরের বৌদ্ধ সম্প্রদায় তাদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব বুদ্ধপূর্ণিমা সাড়ম্বরে উদযাপন করবেন। ‘জগতের সকল প্রাণী সুখী হোক’ এই অহিংস বাণীর প্রচারক গৌতম বুদ্ধের আবির্ভাব, বোধিপ্রাপ্তি আর মহাপরিনির্বাণ, এই স্মৃতিবিজড়িত দিনটিকে বুদ্ধপূর্ণিমা হিসাবে পালন করেন বুদ্ধভক্তরা।

গৌতম বুদ্ধের শুভজন্ম, বোধিজ্ঞান ও নির্বাণ লাভ, এই ত্রিস্মৃতি বিজড়িত বৈশাখী পূর্ণিমা বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব। বিশ্বের সব বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীর কাছে এটি বুদ্ধপূর্ণিমা নামে পরিচিত।

বৌদ্ধধর্ম মতে, আজ থেকে আড়াই হাজার বছর আগে এই দিনে মহামতি গৌতম বুদ্ধ আবির্ভূত হয়েছিলেন। তার জন্ম, বোধিলাভ ও মহাপ্রয়াণ বৈশাখী পূর্ণিমার দিনে হয়েছিল বলে এর (বৈশাখী পূর্ণিমা) অপর নাম দেওয়া হয় ‘বুদ্ধপূর্ণিমা’।

সারা দেশে রাষ্ট্রীয় ছুটির এ দিনের শুরুতে শান্তি শোভাযাত্রা ও বৌদ্ধ মঠ এবং মন্দিরগুলোতে দিনব্যাপী প্রদীপ প্রজ্বালন, পূজা ও প্রার্থনার আয়োজন করে বুদ্ধের আদর্শ অনুসারী বৌদ্ধ সম্প্রদায়। এ উপলক্ষ্যে রাজধানীসহ দেশজুড়ে বৌদ্ধ বিহারগুলোতে বুদ্ধপূজা, প্রদীপ প্রজ্বালন, শান্তি শোভাযাত্রা, ধর্মীয় আলোচনা সভা, প্রভাতফেরি, সমবেত প্রার্থনা, আলোচনা সভা ও বুদ্ধপূজা অনুষ্ঠিত হবে।

এছাড়া মানবজাতির সর্বাঙ্গীণ শান্তি ও মঙ্গল কামনায় বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হবে।

এদিকে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে ঢাকাসহ ছয়টি জেলায় বুদ্ধপূর্ণিমা উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘সাংস্কৃতিক উৎসব’। শনিবার সন্ধ্যা থেকেই ঢাকাসহ ছয়টি জেলায় একযোগে এই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।

সাংস্কৃতিক উৎসব আয়োজন করা হয়েছে এমন অন্য জেলাগুলোর মধ্যে রয়েছে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙামাটি এবং খাগড়াছড়ি।

শনিবার সন্ধ্যায় শিল্পকলা একাডেমির নন্দনমঞ্চে বুদ্ধপূর্ণিমা উপলক্ষ্যে ‘সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান’ হয়। অনুষ্ঠানে সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী উপস্থিত ছিলেন।

নন্দনমঞ্চের অনুষ্ঠানে শুরুতেই ছিল বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের শিল্পীদের পরিবেশনায় সমবেত কণ্ঠে মানবতাবাদী সংগীত ও নৃত্য। এরপর সংগীত পরিবেশন করেন ডিফারেন্ট টাচ্ এবং শিল্পী সায়ান।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

আজ পবিত্র বুদ্ধ পূর্ণিমা

Update Time : ০৩:৩১:৫২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১১ মে ২০২৫

আজ পবিত্র বুদ্ধপূর্ণিমা। দেশ ও দেশের বাইরের বৌদ্ধ সম্প্রদায় তাদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব বুদ্ধপূর্ণিমা সাড়ম্বরে উদযাপন করবেন। ‘জগতের সকল প্রাণী সুখী হোক’ এই অহিংস বাণীর প্রচারক গৌতম বুদ্ধের আবির্ভাব, বোধিপ্রাপ্তি আর মহাপরিনির্বাণ, এই স্মৃতিবিজড়িত দিনটিকে বুদ্ধপূর্ণিমা হিসাবে পালন করেন বুদ্ধভক্তরা।

গৌতম বুদ্ধের শুভজন্ম, বোধিজ্ঞান ও নির্বাণ লাভ, এই ত্রিস্মৃতি বিজড়িত বৈশাখী পূর্ণিমা বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব। বিশ্বের সব বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীর কাছে এটি বুদ্ধপূর্ণিমা নামে পরিচিত।

বৌদ্ধধর্ম মতে, আজ থেকে আড়াই হাজার বছর আগে এই দিনে মহামতি গৌতম বুদ্ধ আবির্ভূত হয়েছিলেন। তার জন্ম, বোধিলাভ ও মহাপ্রয়াণ বৈশাখী পূর্ণিমার দিনে হয়েছিল বলে এর (বৈশাখী পূর্ণিমা) অপর নাম দেওয়া হয় ‘বুদ্ধপূর্ণিমা’।

সারা দেশে রাষ্ট্রীয় ছুটির এ দিনের শুরুতে শান্তি শোভাযাত্রা ও বৌদ্ধ মঠ এবং মন্দিরগুলোতে দিনব্যাপী প্রদীপ প্রজ্বালন, পূজা ও প্রার্থনার আয়োজন করে বুদ্ধের আদর্শ অনুসারী বৌদ্ধ সম্প্রদায়। এ উপলক্ষ্যে রাজধানীসহ দেশজুড়ে বৌদ্ধ বিহারগুলোতে বুদ্ধপূজা, প্রদীপ প্রজ্বালন, শান্তি শোভাযাত্রা, ধর্মীয় আলোচনা সভা, প্রভাতফেরি, সমবেত প্রার্থনা, আলোচনা সভা ও বুদ্ধপূজা অনুষ্ঠিত হবে।

এছাড়া মানবজাতির সর্বাঙ্গীণ শান্তি ও মঙ্গল কামনায় বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হবে।

এদিকে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে ঢাকাসহ ছয়টি জেলায় বুদ্ধপূর্ণিমা উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘সাংস্কৃতিক উৎসব’। শনিবার সন্ধ্যা থেকেই ঢাকাসহ ছয়টি জেলায় একযোগে এই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।

সাংস্কৃতিক উৎসব আয়োজন করা হয়েছে এমন অন্য জেলাগুলোর মধ্যে রয়েছে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙামাটি এবং খাগড়াছড়ি।

শনিবার সন্ধ্যায় শিল্পকলা একাডেমির নন্দনমঞ্চে বুদ্ধপূর্ণিমা উপলক্ষ্যে ‘সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান’ হয়। অনুষ্ঠানে সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী উপস্থিত ছিলেন।

নন্দনমঞ্চের অনুষ্ঠানে শুরুতেই ছিল বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের শিল্পীদের পরিবেশনায় সমবেত কণ্ঠে মানবতাবাদী সংগীত ও নৃত্য। এরপর সংগীত পরিবেশন করেন ডিফারেন্ট টাচ্ এবং শিল্পী সায়ান।