পঞ্চম ধাপে ৩১ পৌরসভায় ভোটগ্রহণ চলছে। রোববার সকাল ৮টায় শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ, যা চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।

এসব পৌরসভার পৌনে ১৪ লাখ ভোটার মেয়র, কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।  এ ধাপের সব পৌরসভায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করা হচ্ছে।

ইতোমধ্যে চার ধাপের পৌর ভোট হয়েছে। এসব ভোটে গোলযোগ-সহিংসতার ঘটনায় খোদ নির্বাচন কমিশনারও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তবে পঞ্চম ধাপের ভোটে ‘কঠোর পদক্ষেপ’ নেওয়ার কথা জানিয়েছে কমিশন।

ইসি সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার শনিবার নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের বলেন, ‘নির্বাচনের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার জন্য সমস্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আমরা আশা করি- ফ্রি, ফেয়ার, পার্টিসিপেটারি এবং উৎসবমুখর পরিবেশে একটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’

মেয়র পদে দলীয় প্রতীকের এ ভোটে কয়েকটি দল অংশ নিলেও বরাবরের মতই মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে নৌকা ও ধানের শীষের প্রার্থীদের মধ্যে

তফসিল অনুযায়ী এসব পৌরসভায় মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ছিল ২ ফেব্রুয়ারি, বাছাই ৪ ফেব্রুয়ারি, মনোনয়ন প্রত্যাহার ১১ ফেব্রুয়ারি এবং প্রতীক বরাদ্দ হয় ১২ ফেব্রুয়ারি।

পঞ্চম ধাপে আজ ভোটগ্রহণ চলছে- চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া, রাউজান, মিরসরাই ও বারইয়ারহাট, লক্ষ্মীপুরে রায়পুর, চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল, হবিগঞ্জ জেলার হবিগঞ্জ, জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ, ইসলামপুর, মাদারগঞ্জ ও জামালপুর সদর, রাজশাহীর চারঘাট ও দুর্গাপুর, বগুড়া জেলার বগুড়া সদর, মানিকগঞ্জের সিংগাইর, চাঁদপুরের মতলব ও শাহারাস্তি, যশোরের কেশবপুর ও যশোর সদর, মাদারীপুরের শিবচর ও মাদারীপুর সদর, রংপুরের হারাগাছ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ ও মহেশপুর, জয়পুরহাটের জয়পুরহাট সদর, ময়মনসিংহের নান্দাইল, ভোলার জেলার ভোলা সদর এবং গাজীপুরের কালীগঞ্জে।

দেশের পৌরসভা রয়েছে মোট ৩২৯টি। প্রথম ধাপের তফসিলের ২৪টি পৌরসভায় ইভিএমে ভোট হয় ২৮ ডিসেম্বর। দ্বিতীয় ধাপে ৬০টি পৌরসভায় ১৬ জানুয়ারি ভোট হয়। তৃতীয় ধাপে ৬৪টি পৌরসভায় ৩০ জানুয়ারি এবং চতুর্থ ধাপে ৫৬টি পৌরসভায় ১৪ ফেব্রুয়ারি ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে