নিজস্ব প্রতিবেদক :

শিল্প সংস্কৃতি ঋদ্ধ সৃজনশীল মানবিক-মূল্যবোধ সম্পন্ন জাতি গঠনে চলচ্চিত্রের ভূমিকা অপরিসীম।

সেই গুরুত্ব অনুধাবন করেই বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি আজ শুক্রবার থেকে আট দিনব্যাপী ‘স্বল্পদৈর্ঘ্য ও প্রামাণ্য চলচ্চিত্র উৎসব ২০২১’ আয়োজন করতে যাচ্ছে।

উপমহাদেশের প্রথম চলচ্চিত্রকার ‘হীরালাল সেন’কে এবারের উৎসবটি উৎসর্গ করা হয়েছে।

আজ শুক্রবার (১৮ জুন) বিকেল ৫টায় ভার্চুয়াল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি। বিশেষ অতিথি সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ বদরুল আরেফীন।

এছাড়া অংশ নিবেন চলচ্চিত্র গবেষক ও লেখক অনুপম হায়াৎ, বিজ্ঞাপন ও চলচ্চিত্র নির্মাতা অমিভাত রেজা চৌধুরী। সভাপতিত্ব করবেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক নাট্যপ্রাণ লিয়াকত আলী লাকী। স্বাগত বক্তব্য রাখবেন একাডেমি নাট্যকলা ও চলচ্চিত্র বিভাগের পরিচালক আফসানা করিম।

সারাদেশের চলচ্চিত্র নির্মাতাদের প্রায় ৪০০টি চলচ্চিত্র থেকে ৮১টি কাহিনী চলচ্চিত্র ও ৩৮টি প্রামাণ্য চলচ্চিত্রসহ মোট ১১৯টি উৎসবে প্রদর্শনীর জন্য নির্বাচন করেন সিলেকশন কমিটি।

চলচ্চিত্র সিলেকশন কমিটিতে ছিলেন বিশিষ্ট চলচ্চিত্র গবেষক অনুপম হায়াৎ, বিশিষ্ট চলচ্চিত্র নির্মাতা ও বাংলাদেশ প্রামাণ্যচিত্র পর্ষদের উপদেষ্টা সাজ্জাদ জহির, বিশিষ্ট চলচ্চিত্র নির্মাতা ও বাংলাদেশ শর্ট ফিল্ম ফোরামের সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল হাসান, চলচ্চিত্র সমালোচক ও চিত্রনাট্যকার সাদিয়া খালিদ রীতি এবং শিল্পকলা একাডেমির নাট্যকলা ও চলচ্চিত্র বিভাগের সহকারী পরিচালক চাকলাদার মোস্তাফা আল মাস্উদ।

এ উৎসবে স্বল্পদৈর্ঘ্য ও প্রামাণ্য চলচ্চিত্র উভয় ক্ষেত্রে পৃথকভাবে ২টি বিভাগে (কাহিনী ও প্রামাণ্য) শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র, শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র নির্মাতা ও বিশেষ জুরি শাখায় মোট ৭টি পুরস্কার প্রদান করা হবে। এছাড়া শ্রেষ্ঠ চিত্রগ্রহণ, শ্রেষ্ঠ সম্প্রাদনা, শ্রেষ্ঠ শব্দ পরিকল্পনা, শ্রেষ্ঠ প্রযোজনা পরিকল্পনায় আরও ৪টি পুরস্কার দেওয়া হবে।

এজন্য চলচ্চিত্র নির্মাতা সৈয়দ সালাউদ্দিন জাকীকে চেয়ারম্যান করে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট একটি জুরি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন- চলচ্চিত্র নির্মাতা ও বাংলাদেশ প্রামাণ্যচিত্র পর্ষদের সভাপতি  ফরিদুর রহমান, বিশিষ্ট চলচ্চিত্র নির্মাতা ও বাংলাদেশ শর্ট ফিল্ম ফোরামের সভাপতি জাহিদুর রহমান অঞ্জন, বিশিষ্ট বিজ্ঞাপন ও চলচ্চিত্র নির্মাতা অমিভাত রেজা চৌধুরী ও কমিটির সদস্য সচিব একাডেমির নাট্যকলা ও চলচ্চিত্র বিভাগের পরিচালক আফসানা করিম।

স্বল্পদৈর্ঘ্য ও প্রামাণ্য চলচ্চিত্র উভয় ক্ষেত্রে পৃথকভাবে ৭টি বিভাগে অর্থমূল্য প্রদান করা হবে। শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র ১ লাখ ২৫ হাজার, শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র নির্মাতা ১ লাখ এবং বিশেষ জুরি পুরস্কার ৫০ হাজার, শ্রেষ্ঠ চিত্রগ্রহণ ২৫ হাজার, শ্রেষ্ঠ সম্প্রাদনা ২৫ হাজার, শ্রেষ্ঠ শব্দ পরিকল্পনা ২৫ হাজার, শ্রেষ্ঠ প্রযোজনা পরিকল্পনায় ২৫ হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে।

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি দীর্ঘদিন ধরে চলচ্চিত্রের উন্নয়নে নানামুখী কাজ করে আসছে। ২০১৫ ও ২০১৭ সালে ৬৪টি জেলায় একযোগে ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসব’, ২০১৬ ও ২০১৮ সালে ৬৪টি জেলায় ‘বাংলাদেশ স্বল্পদৈর্ঘ্য ও প্রামাণ্য চলচ্চিত্র উৎসব’, ২০১৭ সালে দেশব্যাপী ‘বাংলাদেশ শিশু চলচ্চিত্র উৎসব’ আয়োজন করে প্রতিষ্ঠানটি।

এছাড়া ৬৪টি জেলায় শিল্পকলা একাডেমিতে ফিল্ম সোসাইটি গঠনেরও উদ্যোগ নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে