Dhaka ০২:১৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৫ মে ২০২৫, ২২ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আজ থেকে কর্মবিরতিতে পৌনে ৪ লাখ শিক্ষক

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৩:১৯:৩৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৫ মে ২০২৫
  • ৯ Time View

সহকারী শিক্ষকদের ১২তম গ্রেড দেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। কিন্তু তারা চাইছেন ১১তম গ্রেড। এ দাবিতে আজ সোমবার থেকে সারা দেশে সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা এক ঘণ্টার কর্মবিরতিতে যাচ্ছেন। এর আগে রোববার (৪ মে) পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছিলেন।

সহকারী শিক্ষকরা ১০ম গ্রেডে বেতন চেয়ে আগে থেকে আন্দোলন করে আসছিলেন। এখন তারা বলছেন, শুরুতে অন্তত ১১তম গ্রেডে বেতন দিতে হবে। এ ছাড়া চাকরিতে ১০ বছর ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড পাওয়ার জটিলতা নিরসন এবং প্রধান শিক্ষক পদে শতভাগ পদোন্নতি দিতে হবে।

এ তিন দাবিতে এক ঘণ্টা কর্মবিরতি চলবে ১৫ মে পর্যন্ত। ১৬ থেকে ২০ মে পর্যন্ত দুই ঘণ্টা করে কর্মবিরতি পালন করবেন শিক্ষকরা। ২১ থেকে ২৫ মে পর্যন্ত অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করবেন। ২৬ মে থেকে দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত পূর্ণদিবস কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন তারা।

জানা গেছে, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বর্তমানে পৌনে ৪ লাখের মতো শিক্ষক কর্মরত রয়েছেন। এতদিন এসব বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকরা ১১তম গ্রেড ও সহকারী শিক্ষকরা ১৩তম গ্রেডে বেতন পেয়ে আসছিলেন।

গত ১৩ মার্চ উচ্চ আদালত এক রায়ে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩০ হাজার প্রধান শিক্ষককে দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তার মর্যাদা দেন। সেইসঙ্গে তাদের বেতন ১০ম গ্রেডে নির্ধারণের নির্দেশ দেন।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, আদালতের নির্দেশে প্রধান শিক্ষকদের বেতন গ্রেড এক ধাপ উন্নীত হয়েছে। এর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সহকারী শিক্ষকদের বেতন গ্রেড এক ধাপ উন্নীত করে ১২তম করার নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ ব্যাপারে সরকার গঠিত কমিটির প্রতিবেদনেও সুপারিশ রয়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

আজ থেকে কর্মবিরতিতে পৌনে ৪ লাখ শিক্ষক

Update Time : ০৩:১৯:৩৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৫ মে ২০২৫

সহকারী শিক্ষকদের ১২তম গ্রেড দেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। কিন্তু তারা চাইছেন ১১তম গ্রেড। এ দাবিতে আজ সোমবার থেকে সারা দেশে সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা এক ঘণ্টার কর্মবিরতিতে যাচ্ছেন। এর আগে রোববার (৪ মে) পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছিলেন।

সহকারী শিক্ষকরা ১০ম গ্রেডে বেতন চেয়ে আগে থেকে আন্দোলন করে আসছিলেন। এখন তারা বলছেন, শুরুতে অন্তত ১১তম গ্রেডে বেতন দিতে হবে। এ ছাড়া চাকরিতে ১০ বছর ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড পাওয়ার জটিলতা নিরসন এবং প্রধান শিক্ষক পদে শতভাগ পদোন্নতি দিতে হবে।

এ তিন দাবিতে এক ঘণ্টা কর্মবিরতি চলবে ১৫ মে পর্যন্ত। ১৬ থেকে ২০ মে পর্যন্ত দুই ঘণ্টা করে কর্মবিরতি পালন করবেন শিক্ষকরা। ২১ থেকে ২৫ মে পর্যন্ত অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করবেন। ২৬ মে থেকে দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত পূর্ণদিবস কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন তারা।

জানা গেছে, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বর্তমানে পৌনে ৪ লাখের মতো শিক্ষক কর্মরত রয়েছেন। এতদিন এসব বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকরা ১১তম গ্রেড ও সহকারী শিক্ষকরা ১৩তম গ্রেডে বেতন পেয়ে আসছিলেন।

গত ১৩ মার্চ উচ্চ আদালত এক রায়ে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩০ হাজার প্রধান শিক্ষককে দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তার মর্যাদা দেন। সেইসঙ্গে তাদের বেতন ১০ম গ্রেডে নির্ধারণের নির্দেশ দেন।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, আদালতের নির্দেশে প্রধান শিক্ষকদের বেতন গ্রেড এক ধাপ উন্নীত হয়েছে। এর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সহকারী শিক্ষকদের বেতন গ্রেড এক ধাপ উন্নীত করে ১২তম করার নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ ব্যাপারে সরকার গঠিত কমিটির প্রতিবেদনেও সুপারিশ রয়েছে।