নিজস্ব প্রতিবেদক:
আজ (বৃহস্পতিবার) জাতীয় সংসদে পেশ করা হবে ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট। বিকেল তিনটায় সংসদ অধিবেশনে দেশের ৫১তম এই বাজেট উপস্থাপন করবেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
করোনা অতিমারির কারণে উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় খানিকটা হোঁচট খেয়েছিল অর্থনীতি। এবারের বাজেটের মূল লক্ষ্য থাকবে সক্ষমতার উন্নয়ন, বৈশ্বিক ঝুঁকি কাটিয়ে অর্থনীতির স্থিতিশীলতার সঙ্গে জনজীবনে স্বস্তি ফেরানো। আসছে বাজেটের আকার হতে পারে পৌনে ৭ লাখ কোটি টাকা। যাতে ব্যয় মেটাতে অর্থের যোগান বড় চ্যালেঞ্জ হবে সরকারের জন্য।
ঘোষিত বাজেটেই আগামী এক বছর রাষ্ট্র পরিচালনার সব আয়-ব্যয় চূড়ান্ত হবে। এবারের বাজেটের আকার হতে পারে, পৌনে ৭ লাখ কোটি টাকা। যা চলতি অর্থবছরের বাজেটের তুলনায় ৭৪ হাজার ৩৮৩ কোটি টাকা বেশি।
বাজেটে সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হতে পারে ৪ লাখ ৩৩ হাজার কোটি টাকা। যা চলতি অর্থবছরের তুলনায় ৪৪ হাজার ৭৯ কোটি টাকা বেশি। প্রস্তাবিত বাজেটে ঘাটতি হবে ২ লাখ ৪৫ হাজার ৬৪ কোটি টাকা।
বাজেটে বড় অংকের ঘাটতি পূরণে সরকারকে অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক উৎস থেকে ঋণ নিতে হবে। আসছে বাজেটে জিডিপি’র প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা ৭ দশমিক ৫ শতাংশ ধরা হচ্ছে। এতে মূল্যস্ফীতি লক্ষ্যমাত্রা ধরা হবে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ। আর চলতি অর্থবছর মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৫ দশমিক ৩।
সামাজিক সুরক্ষামূলক বিভিন্ন কর্মসূচি এবং উৎপাদনশীল নানা খাতে ভর্তুকি, প্রণোদনা ও নগদ ঋণের সরবরাহ বৃদ্ধিতে খরচ করতে বড় অংকের বরাদ্দ থাকতে পারে।