Dhaka ০২:০৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আজ জাতীয় শোক দিবস

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৪:৪৬:১১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৫ অগাস্ট ২০২১
  • 46

নিজস্ব প্রতিবেদক :

আজ ১৫ই আগস্ট। জাতীয় শোক দিবস। বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার বেদনা বিধুর দিন।

১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে নিজ বাসভবনে একদল সেনা সদস্য নির্মম ভাবে হত্যা করে বাংলাদেশের স্থপতি ও প্রথম রাষ্ট্রপতিকে। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে প্রথম এবং ২০০৮ সালে দ্বিতীয়বার সরকার গঠনের পর খুনিদের বিচার যেমন হয়েছে, তেমনি দেশ খুঁজে পেয়েছে হারানো পথ। এখন এই হত্যাকান্ডের পেছনের ষড়যন্ত্রকারীদের মুখোশ উন্মোচনের দাবি সংশ্লিষ্টদের।

‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ এই বজ্র কণ্ঠই মুক্তির আকাঙ্খায় উদ্বেলিত বাঙালিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিল। আধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত পাকিস্তানী সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়েছিল নিরস্ত্র বাঙালি। শেখ মুজিব তাঁর অনন্য বাগ্মিতায় এক সুতোয় গেঁথেছিলেন বাঙালির স্বপ্ন,সংগ্রাম আর স্বাধীনতার লালিত কামনাকে। ঐক্যবদ্ধ বাঙালি যার আহ্বানে জীবনের দামে স্বাধীনতা কিনে আনে তিনি ছিলেন বাংলাদেশের স্থপতি, স্বাধীন বাঙালি জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান।

পাকিস্তান শাসনামলে তাঁকে হত্যার বহু চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। কিন্তু, দুর্ভাগ্য, স্বাধীন স্বদেশে একদল বিপথগামী সেনাসদস্য দেশীয় এবং বিদেশী ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে সপরিবারে হত্যা করে জাতির পিতাকে। ইতিহাস গবেষক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন মনে করেন নতুন প্রজন্মকে জাতির পিতার হত্যাকারী ও পেছনের কুশীলবদের সম্পর্কে জানাতে হবে।

খুনিচক্র বঙ্গবন্ধুকে শারীরিক ভাবে হত্যা করলেও তার তেজস্বিতা আলোকবার্তিকা হয়ে বাঙালির হৃদয়ে শক্তি ও বেদনার মহাকাব্য হয়ে থাকবে চিরকাল।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

Popular Post

আজ জাতীয় শোক দিবস

Update Time : ০৪:৪৬:১১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৫ অগাস্ট ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক :

আজ ১৫ই আগস্ট। জাতীয় শোক দিবস। বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার বেদনা বিধুর দিন।

১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে নিজ বাসভবনে একদল সেনা সদস্য নির্মম ভাবে হত্যা করে বাংলাদেশের স্থপতি ও প্রথম রাষ্ট্রপতিকে। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে প্রথম এবং ২০০৮ সালে দ্বিতীয়বার সরকার গঠনের পর খুনিদের বিচার যেমন হয়েছে, তেমনি দেশ খুঁজে পেয়েছে হারানো পথ। এখন এই হত্যাকান্ডের পেছনের ষড়যন্ত্রকারীদের মুখোশ উন্মোচনের দাবি সংশ্লিষ্টদের।

‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ এই বজ্র কণ্ঠই মুক্তির আকাঙ্খায় উদ্বেলিত বাঙালিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিল। আধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত পাকিস্তানী সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়েছিল নিরস্ত্র বাঙালি। শেখ মুজিব তাঁর অনন্য বাগ্মিতায় এক সুতোয় গেঁথেছিলেন বাঙালির স্বপ্ন,সংগ্রাম আর স্বাধীনতার লালিত কামনাকে। ঐক্যবদ্ধ বাঙালি যার আহ্বানে জীবনের দামে স্বাধীনতা কিনে আনে তিনি ছিলেন বাংলাদেশের স্থপতি, স্বাধীন বাঙালি জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান।

পাকিস্তান শাসনামলে তাঁকে হত্যার বহু চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। কিন্তু, দুর্ভাগ্য, স্বাধীন স্বদেশে একদল বিপথগামী সেনাসদস্য দেশীয় এবং বিদেশী ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে সপরিবারে হত্যা করে জাতির পিতাকে। ইতিহাস গবেষক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন মনে করেন নতুন প্রজন্মকে জাতির পিতার হত্যাকারী ও পেছনের কুশীলবদের সম্পর্কে জানাতে হবে।

খুনিচক্র বঙ্গবন্ধুকে শারীরিক ভাবে হত্যা করলেও তার তেজস্বিতা আলোকবার্তিকা হয়ে বাঙালির হৃদয়ে শক্তি ও বেদনার মহাকাব্য হয়ে থাকবে চিরকাল।