নিজস্ব প্রতিবেদক:
আজ (সোমবার) ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ। বাঙালির মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাসে একটি অবিস্মরণীয় দিন।
১৯৭১ সালের এই দিনে ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে ভাষণ দিয়েছিলেন, প্রকৃতপক্ষে সেটিই ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা। এই ভাষণেই উদ্দীপ্ত হয়েছিল গোটা বাঙালি জাতি। ঝাঁপিয়ে পড়েছিল মুক্তির সংগ্রামে। বঙ্গবন্ধুর সেই ভাষণ আজ বিশ্ব ঐতিহ্যের প্রামাণ্য দলিল।
ছাব্বিশ বছরের পাকিস্তানী শাসনের যাঁতাকলে পিষ্ট বাঙালির দু:সহ উপলব্ধির কথা সেদিন এভাবেই উচ্চারণ করেছিলেন বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা শেখ মুজিবুর রহমান। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মানব সমুদ্রে দেয়া সেই ভাষণ ছিলো অধিকার বঞ্চিত বাঙ্গালীর জেগে ওঠার রশদ, স্বাধীনতা অর্জনের নির্দেশনা।
আড়াই হাজার বছরের মধ্যে বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ৪১টি ভাষণের তালিকায় স্থান পাওয়া বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ ঐতিহাসিকদের বিচারে বাংলাদেশের স্বাধীনতার মূল ঘোষণা, যা সমস্ত জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রকে পরাজিত করে সশস্ত্রযুদ্ধের মধ্যদিয়ে জন্ম দেয় স্বাধীন, সার্বভৌম বাংলাদেশের। ঐতিহাসিক সেই ভাষনের প্রতিটি শব্দ, প্রতিটি বাক্য, তাঁর দৃপ্ত উচ্চারণ বাঙালির মনে সেদিন আগুন জ্বেলেছিল।
লাখো জনতার সামনে দেয়া সেদিনের সেই ভাষণ সেলুলয়েডের ফিতায় যারা ধারণ করেছিলেন, তাদের মধ্যে ছিলেন তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের ফিল্ম ডিভিশনের চৌকশ ক্যামেরাপার্সন আমজাদ আলী খন্দকার। জানান, বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণের সময় মাঠে কোনো শব্দ ছিলোনা, বঙ্গবন্ধুর প্রতিটি কথা মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে শুনছিলো জনতা।
পাকিস্তানীদের নির্দেশনা উপক্ষো করে ধারণ করা সেই ভাষণ সংরক্ষণ করাও ছিলো বিরাট চ্যালেঞ্জ। সেই ভয়ঙ্কর দিনের কথা জানান আমজাদ আলী খন্দকার।
৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ শুধু বাঙালির জন্য তাৎপর্যময় ঘটনা নয়, সারাবিশ্বেও সমাদৃত এই ভাষণ। দেশের যেকোনো ক্রান্তিকালে বঙ্গবন্ধুর ওই ভাষণে উজ্জীবীত হওয়ার মত উপাদান আছে, যা এখনো সমান সমকালীন মনে করেন ইতিহাসবিদরা।